রাজভবনে ধর্নায় অভিষেক! শুভেন্দু দিলেন পাল্টা ডান! ঘুরলো খেলা

এমএনআরইজিএ আন্দোলনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নবজোয়ার যাত্রার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

author-image
SWETA MITRA
New Update
suvendu abhi.jpg

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ১৪৪ ধারা জারি করা সত্ত্বেও কীভাবে মঞ্চ বেঁধে তৃণমূল ধর্নায় বসেছে এই নিয়ে এতদিন সুর চরিয়ে আসছিলেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এরই মাঝে আজ সোমবার তাঁর নতুন করে এক দাবিকে ঘিরে কেঁপে গেল বঙ্গ রাজনীতি। বিগত ৫ দিন ধরে ধর্নায় সামিল হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এদিকে এরই মাঝে শুভেন্দু অধিকারী আজ এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘২০১৭ সালের গ্রুপ ডি চাকরি প্রার্থীরাও ধর্নায় বসতে চান রাজভবনের সামনে। পুলিশ কমিশনরকে চিঠি দিয়েছেন তাঁরা। রাজভবনের দক্ষিণ গেটের কাছে ধর্নায় বসতে চান চাকরি প্রার্থীরাও। ডাব্লুবিজিডিআরবি-২০১৭ গ্রুপ-ডি অর্থাৎ কর্মী ও প্রশাসনিক সংস্কারের অধীনে পশ্চিমবঙ্গ গ্রুপ ডি নিয়োগ বোর্ড-এর মেধা তালিকাভুক্ত, যোগ্য এবং বঞ্চিত প্রার্থীরা ৪০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে কলকাতার ধর্মতলায় শহীদ মাতঙ্গিনী হাজরা মূর্তির পাশে ধর্নায় বসে আছেন। রাজ্য সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাদের অব্যাহত আন্দোলন দীর্ঘায়িত করতে তারা এখন রাজভবনের দক্ষিণ গেট সংলগ্ন এলাকায় বা আশেপাশের যে কোনও জায়গায় অবস্থান বিক্ষোভের অনুমতি চেয়েছেন। আমি আশা করছি কলকাতার পুলিশ কমিশনার শ্রী বিনীত গোয়েল এবং কলকাতা পুলিশ

 আঞ্চলিক টিএমসি পার্টিকে রাজভবনের সামনে ধর্না দেওয়ার অনুমতি দেওয়ায় তারা শান্তিপূর্ণ ভাবে বিক্ষোভ করার সুযোগ পাবেন। আমাদের দেশে দুই গ্রুপের মানুষের জন্য আলাদা কোনো নিয়ম থাকতে পারে না। আইন সবাইকে সমানভাবে বিবেচনা করে এবং করদাতাদের দ্বারা অর্থ প্রদানকারী আইন রক্ষকরা একটি পরিবারের প্রতি আনুগত্য সহ্য করতে পারে না। আমি জানতে পেরেছি যে অন্যান্য বঞ্চিত গোষ্ঠীগুলির দ্বারাও অনুরূপ অনুমতি চাওয়া হচ্ছে, এবং আমি তাদের বৈধ অনুরোধের প্রতি দৃঢ়ভাবে আমার সমর্থন জানাই এবং প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাই। কলকাতা পুলিশ যেন তাদের অনুরোধ বিবেচনা করে। সেইসঙ্গে রাজ্যপালকে অনুরোধ জানাবো সবকিছু খতিয়ে দেখার।‘

গত ২-৩ অক্টোবর অভিষেক অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে দিল্লি যান এবং গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন।  এরপর ৪ অক্টোবর অভিষেক ডাক দেন যে তাঁরা রাজভবনের দিকে পদযাত্রা করবেন। ততক্ষণে এটা স্পষ্ট ছিল না যে তিনি রাজভবনের বাইরে চলমান অবস্থান ধর্মঘটে অংশ নেবেন কিনা। একবার তিনি তা করার পরে, এটি স্পষ্ট হয়ে যায় যে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করছেন।