সুন্দরবনের হাল হকিকত দেখতে ঝড়ের মুখেই এলেন কান্তি গাঙ্গুলী

বৃহস্পতিবার রাত গভীর হলেই উড়িষ্যার ধামরায় আছড়ে পড়বে দানা।

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
cyclone biparjoy.jpg

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: বাংলায় তিনি নিজেই এক প্রবাদ সৃষ্টি করে দিয়েছেন ঝড় এলেই কান্তি আসে। অশীতিপর সিপিআইএম নেতার প্রতিটি বসন্তেই একটি একটি করে ঝড় এসেছে! এই ঝড়ে সর্বহারা আর্ত মানুষদের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন তিনি! সাদা ধুতিতে লেগেছে কাদা কিন্তু তারপরেও ক্লান্তিহীন কান্তি পৌঁছে গিয়েছেন দুর্গত মানুষদের কাছে।! 

বৃহস্পতিবার রাত গভীর হলেই উড়িষ্যার ধামরায় আছড়ে পড়বে দানা। তার সক্রিয় প্রভাব পড়বে দুই মেদিনীপুর জেলা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণায়। সুন্দরবনের দুর্গত মানুষদের চোখের ঘুম উড়ে গিয়েছে আগেই। প্রাণপণে রিলিফ ক্যাম্পে যেতে ব্যাস্ত তারা। তার মাঝেই ওদের পাশে দাঁড়াতে উপস্থিত হলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। আইলা, আমফান, ইয়াস, রেমাল সহ একাধিক ঘূর্ণিঝড়ে বিপর্যস্ত হয়েছে সুন্দরবন। ঝড়কে মিতে করে দু চোখের দুর্যোগে তারা দেখেছে ওই একটাই মানুষকে। বারবার যেকোনো ঝড়ের আগে তিনি পৌঁছে গিয়েছেন সুন্দরবনের উপকূল এলাকায়। এবারেও রায়দিঘিতে পৌঁছে গেলেন কান্তি। 

Cyclone

কুমোর পাড়ার ঘর মোকাবিলায় কি পরিস্থিতি রয়েছে তা খতিয়ে দেখলেন তিনি। ঝড়ের আগে সতর্কতা দিলেন। বিপন্ন মানুষদের ডাক শুনলে তিনি নাকি নিজেকে ঠিক রাখতে পারেন না। বয়সের ভারে এখন অনেকটাই জর্জরিত, তার উপর আবার দলের দাপট নেই। তা সত্ত্বেও নদী বাঁধ এলাকা ঘুরে দেখলেন তিনি। বিধায়ক কিংবা মন্ত্রী পদ গিয়েছে আগেই। 

কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘প্রশাসন যোগাযোগ করেননি আমিও করবো না। যদি রাতে ঝড় আসে তবে পুবের হাওয়া নদী বাঁধ দিয়ে ঢুকে পড়বে। বাঁধের কাজ করে সেচ দপ্তর। ১০০ দিনের কাজে নদী বাধে মাটি দেওয়া হয়। কিন্তু গত চার-পাঁচ বছরে কিছুই হয়নি”। এদিন এই ভাবেই অভিযোগ জানিয়ে এক হাঁটু জল ডিঙিয়ে এক বুক আক্ষেপ নিয়ে কান্তি চললেন বালিবাজারের উদ্দেশ্যে।