সাফল্য এল ৩৬ ঘণ্টায়!

অন্ডাল ওয়ার্কশপ কৃষ্ণ পল্লী এলাকায় খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে যে বামদাস নামে এক ব্যক্তি তার স্ত্রী কল্যাণী দাসের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বীরেন্দ্র চৌধুরীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত ছিল বলে সন্দেহ করেন। স্ত্রীকে জখম করার পর থেকেই পলাতক ছিলেন।

author-image
Pallabi Sanyal
New Update
১২৩


হরি ঘোষ, অন্ডাল : ৩৬ ঘণ্টায় সাফল্য এল অন্ডাল পুলিশের হাতে । চলতি মাসের ২১ তারিখ অন্ডালের ওয়ার্কশপ কৃষ্ণপল্লীতে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হল অভিযুক্তকে ।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার রাত্রির ঘটনা। অন্ডাল ওয়ার্কশপ কৃষ্ণ পল্লী এলাকায় খুনের ঘটনায়  চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে যে বামদাস নামে এক ব্যক্তি তার স্ত্রী কল্যাণী দাসের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বীরেন্দ্র চৌধুরীর বিবাহ বহির্ভূত  সম্পর্কে জড়িত ছিল বলে সন্দেহ করেন। কাজের সুবাদে বাইরেই থাকেন বেশিরভাগ দিন। শনিবার রাত্রিবেলায় কাজ সেরে বাড়িতে ফিরতেই বামবাবুর স্ত্রীর সাথে কথা কাটাকাটি চরমসীমায় পৌঁছায়। তৎক্ষণাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে বামবাবু তড়িঘড়ি ধারালো অস্ত্র নিয়ে আঘাত করেন বীরেন্দ্র চৌধুরীকে। আঘাত করার পর বামবাবু সেই সময় থেকে পলাতক ছিলেন। রক্তাক্ত অবস্থায় আহত বীরেন্দ্র চৌধুরীকে উদ্ধার করে রাতেই নিয়ে যাওয়া হয় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল। আঘাত গভীর হওয়ার কারণে সেখান থেকে তাকে স্থানান্তরিত করা হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে। বর্ধমানে নিয়ে যাওয়ার পথেই বীরেন্দ্র চৌধুরীর মৃত্যু হয়।অন্ডাল থানার পুলিশ অভিযুক্ত বাম দাসের স্ত্রী কল্যাণী দাসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে এবং সেই সময় থেকে অন্ডাল থানার পুলিশ অভিযুক্তের খোঁজ চালায়। অবশেষে এই ঘটনায় পুলিশের অতি সক্রিয়তার সাথে তদন্ত করে অভিযুক্ত বাম দাসকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে অন্ডাল থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে যে আজ মঙ্গলবার তাকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে এবং নিজেদের হেফাজতে নিতে ১৪ দিনের আবেদন জানাবে আদালতে । আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের অভিযুক্ত বামদাস জানান, "আমার স্ত্রী বীরেন্দ্রর সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত ছিল, সেকারণেই রাগের বসে এই ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছি এবং ভয় পেয়ে আমি পালিয়ে যাই ঘটনাস্থল থেকে।''