গোটা রাজ্য দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে! তীব্র কটাক্ষ শুভেন্দুর

গোটা রাজ্য দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে। খুন ও শুটআউটের ঘটনা নিত্যদিনের বিষয় হয়ে উঠেছে। টুইটারে ক্ষোভ উগরে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
suvendu edit .jpg

নিজস্ব সংবাদদাতা: গত এক সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যে দুই জন তৃণমূল নেতা খুন হয়েছে। দুই জন সাধারণ মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এই পরিস্থিতি রাজ্যের নিয়ম-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পুলিশ সক্ষম হলেও বাকি ঘটনাগুলোতে পুলিশ এখনও কোনও সুরাহা করতে পারেনি। এই পরিস্থিতি বিরোধীরা রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘটনায় রাজ্য সরকরকে কাঠগোড়ায় রেখেছে। 

বুধবার নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী টুইটে বলেন, 'নিত্যদিন গুলি এবং বোমাবাজিতে মৃত্যুর ঘটনা পশ্চিমবঙ্গে এখন অতি সাধারণ ব্যপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কয়েকটি খুন ও শুটআউটের ঘটনা থেকেই এই রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির সম্বন্ধে ধারণা করা যায়। এ এক বড় উদ্বেগের বিষয়। খুন, ডাকাতি, নারী নির্যাতন, রাজনৈতিক হত্যা, ধর্ষণ করে হত্যা; এমনকি নাবালিকাও ছাড় পায় না, এমন ঘটনা রাজ্যে নিত্য-নৈমিত্তিক ঘটছে। গোটা রাজ্যই যেন দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে এবং তারা যত্রতত্র যথেচ্ছা যেন 'ফাঁকা মাঠে গোল' দিচ্ছে।'
 
পাশাপাশি তিনি মন্তব্য করেন, 'এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার পেছনে বড় কারন হল, দুষ্কৃতী দমন যাঁদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে তাঁরা এখন উর্দি ছেড়ে পুলিশ মন্ত্রীর বাড়ির ভৃত্যের কাজ করতে ব্যস্ত।
মানসিকতা দেখুন, জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বেতন পাওয়া পুলিশকর্মীরা পুলিশ মন্ত্রীর বাড়ির কালী পুজোয় খাবারের প্যাকেট তৈরি ও বিতরণ করছে !!!'

জয়নগরের তৃণমূল নেতাকে খুনের ঘটনার কিনারা পুলিশ করতে পারলেও কোলাঘাটে স্বর্ণব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। সোমবার রাতে এক স্বর্ণব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরিবারের দাবি, পরিচিত কোনও ব্যক্তি এর নেপথ্যে রয়েছে। পরের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার জগদ্দলে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। সেখানেও পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেফতার করতে পারেনি।