নিজস্ব সংবাদদাতা : শুভেন্দু অধিকারী সম্প্রতি তালডাংরায় উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পদত্যাগের আহ্বান জানান। তিনি দাবি করেন, আর জি কর-কাণ্ডের সঠিক বিচার পাওয়ার জন্য মামলাটি অন্য রাজ্যে সরানো প্রয়োজন, নাহলে প্রকৃত বিচার সম্ভব হবে না। শুভেন্দু বলেন, মমতার পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত তাদের লড়াই চলবে। তিনি কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একে একে সরব হয়েছেন, এবং রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করছেন।
/anm-bengali/media/media_files/Mnnys01WHD5YqMuR0AG0.png)
অপরদিকে, আর জি কর-কাণ্ডের তিন মাস পার হওয়ার পরও জুনিয়র ডাক্তাররা রাজপথে নেমে বিচার দাবি করছে। তাদের প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে কলেজ স্ট্রিট থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত, যেখানে তারা এক হাতে সংবিধান ও অন্য হাতে ন্যায়ের প্রতীক ধরে মিছিল করেছে। তারা দাবি করেছে, মেডিক্যাল কলেজে সঠিক বিচার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন "জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট" রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে "দ্রোহের গ্যালারি" তৈরি করেছে, যেখানে আন্দোলনের ছবি, পোস্টার ও এর গতিপ্রকৃতির তথ্য প্রদর্শন করা হচ্ছে। এই প্রদর্শনীগুলির মাধ্যমে ডাক্তাররা জানান দিতে চায় যে তারা এখনও আন্দোলনে যুক্ত রয়েছে এবং বিচার না হওয়া পর্যন্ত তাদের সংগ্রাম চলবে।
/anm-bengali/media/media_files/jJNrC9D4dw25KYE8SjtK.JPG)
ধর্মতলায় "অভয়া গ্যালারি" নামে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়, যেখানে আর জি কর-কাণ্ডের বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি এবং পোস্টার স্থান পায়। এটি "জনতার চার্জশিট" নামে একটি বিশেষ পর্বও অন্তর্ভুক্ত ছিল, যা জনমানসে আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জোরদার করার উদ্দেশ্যে ছিল। এসএসকেএম হাসপাতাল চত্বরে এবং অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজে এই ধরনের গ্যালারির মাধ্যমে জুনিয়র ডাক্তাররা তাদের আন্দোলনকে আরও দৃশ্যমান এবং সুরক্ষিত করতে চায়।
/anm-bengali/media/media_files/pCqWOMWMy5UjOQoKy7gK.jpg)
এই আন্দোলন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্রমাগত সমালোচনার সৃষ্টি করেছে, এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অবস্থা ও চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।