নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর: হোস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আইআইটি ক্যাম্পাস চত্বরে। আত্মঘাতী নাকি খুন হয়েছেন ছাত্র, সেই নিয়ে এখনও কোনও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া সম্ভব হয়নি। মৃতের নাম সাওয়ান মল্লিক। জানা গিয়েছে, আইআইটির তৃতীয় বর্ষের ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়ুয়া ছিল সে। তার বাড়ি কলকাতার কসবায়। মনে এক ঝাঁক পাখির মতো স্বপ্ন নিয়ে গিয়েছিলেন আইআইটি-তে পড়াশোনা করতে। কিন্তু স্বপ্নপূরণের আগেই ‘চিরঘুমে’ সাওয়ান।
ইতিমধ্যেই পড়ুয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয় থানার পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটিকে পাঠানো হবে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে, এমনটাই খবর পুলিশ সূত্রে। জানা গিয়েছে রবিবার পড়ুয়ার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন তার বাবা-মা। হোস্টেলে ঢুকে তার ঘরের দরজা খুলতেই কার্যত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েন মৃত পড়ুয়ার অভিভাবক। চোখের সামনে স্পষ্ট হয়ে যায় ছেলের ঝুলন্ত দেহ।
উল্লেখ্য, এমন ঘটনা প্রথম নয়। এর আগে গত বছর জুন মাসে খড়্গপুর আইআইটিতে একইভাবে উদ্ধার করা হয় এক ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ। বায়োটেকনোলজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া ছিল সে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একটি হল থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পড়ুয়ারা। হলের ছাদ থেকে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে ছিল দেহটি। এরপর এক বছর পেরনোর আগেই আরও একটি রহস্যমৃত্যু।
বছর বছর কেনই বা আইআইটিতে বাড়ছে আত্মঘাতীর সংখ্যা, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে নাগরিক সমাজ। অতিরিক্ত পড়াশোনার চাপই খেয়ে ফেলছে স্বাভাবিক জীবন ? উঠছে প্রশ্ন।