নিজস্ব সংবাদদাতা: প্রতিদিনের মতন বুধবারও নিজের স্কুল চাঁপদানি আর্য বিদ্যাপীঠে পড়তে গিয়েছিল দশম শ্রেনীর ছাত্র বছর পনেরোর অভিনব জালান। কিন্তু এদিন আর স্কুল থেকে বাড়ি ফিরতে পারল না অভিনব। সৌজন্যে তারই ক্লাসের এক সহপাঠী বিবেক, এমনটাই অভিযোগ। যার একের পর এক ঘুষি, কিল, চড় মুহুর্মুহু আছড়ে পড়েছিল আপাত শান্ত অভিনবর মাথায়, বুকে ও মুখের উপর। একের পর এক মারে এক সময় অজ্ঞান হয়ে ক্লাসের মধ্যেই লুটিয়ে পড়ে কিশোর অভিনব। ব্যাস, সেখানেই সব শেষ। আর জ্ঞান ফেরেনি অভিনবর।
চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানান, সব শেষ। ঘটনায় হাহাকার নেমে আসে অভিনবর পরিবারে। ঘটনার আকস্মিকতায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন অভিনবর মা। কিন্তু কেন আর কিভাবে ঘটল এমন ঘটনা। এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজে বেড়াচ্ছেন অভিনবর বাবা। একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, এই বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ভূমিকা নিয়ে।
/anm-bengali/media/media_files/death2jpeg)
অদ্ভুতভাবে এতবড় একটা ঘটনার পরেও স্কুল কর্তৃপক্ষের মধ্যে দেখা গেল নিস্পৃহ ভূমিকা। যা নিয়ে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে কর্তৃপক্ষের সাফাই, এই ঘটনা হয় দুটো ক্লাসের মধ্যবর্তী সময়। তাই ওই সময় সামনে কোনও শিক্ষক না থাকার কারণেই এমন ঘটনা।
এই ঘটনার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। দ্রুত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এই ঘটনার জেরে অভিনবকে নির্মম ভাবে মারধর করা অপর ছাত্র বিবেক এর পরিণতি কি হবে, সেটা তো আইন বা আদালত স্থির করবে। তবে সব কিছুর পরেও প্রশ্ন একটা রয়েই যায়, এদিনের এই ঘটনার পর নিজের নিজের সন্তানকে এই বিদ্যালয়ে পড়তে পাঠিয়ে নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন তো বাকি বাবা মায়েরা!
/anm-bengali/media/media_files/nnO1qYyzhRwLPmVgOoaY.jpg)