নিজস্ব সংবাদদাতা: সম্প্রতি আরজি করের ঘটনা মেডিক্যাল হাসপাতাল গুলিতে নিরাপত্তার বিষয়টিতে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। আদৌ কি হাসপাতাল গুলি নিরাপদ মহিলা চিকিৎসক কিংবা নার্সদের জন্যে? আদৌ কি রোগীর জন্যে নিরাপদ? এই সব প্রশ্ন এবার উঠতে শুরু করেছে। কেননা আরজি করের ঘটনায় এখনও মূল অভিযুক্ত সেই সঞ্জয় রায়ই, যে কিনা সিভিক ভলান্টিয়ার ছিল। তাই এবার হাসপাতালের নিরাপত্তার বিষয়টি জোরদার বিভিন্ন জেলাতেই।
কিছুদিন আগে মালদা মেডিক্যালে এই নিয়ে হয়েছিল বিশেষ প্রশিক্ষণ। আর এবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের পরিচালনায় আজ থেকে শুরু হল চারদিনব্যাপী সকল সাবডিভিশনাল ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত সুরক্ষা কর্মীদের ও সুরক্ষা সম্পর্কিত দপ্তরদের নিয়ে হাসপাতাল সম্পর্কিত সুরক্ষা প্রশিক্ষণ।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ কর্তৃক আয়োজিত এই প্রশিক্ষণ শিবিরে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন হাসপাতালের সুরক্ষা প্রদানকারী কর্মীবৃন্দ, সিকিউরিটি গার্ডস, সুপারভাইজার, পুলিশ কর্মী, ফায়ার সার্ভিস দপ্তরের কর্মীবৃন্দ, স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীবৃন্দ, মেডিক্যাল অফিসার্স, স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানকারী বিভাগ, প্রখ্যাত মনস্তত্ত্ববিদ ও অন্যান্য সুরক্ষা প্রদান সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।
জেলা ব্যাপী সকল হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের সুরক্ষায় সর্বদা তৎপর ও বদ্ধপরিকর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। তাই যাতে সেই জেলায় অবস্থিত মেডিক্যাল কলেজগুলিতে কোনও সমস্যা তৈরি না হয়, যাতে সবাই নিরাপদে কাজ করতে পারে এদিন তারই প্রশিক্ষণ দেয় জেলা পুলিশের আধিকারিকরা।