নিজস্ব সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: ফের বড়দিনের আগেই পর্যটকদের বড় উপহার দিল উত্তর সিকিম। উত্তর সিকিম আপাতত তুষারাবৃত। এবার বরফের পুরু আস্তরণে ঢাকলো সিকিম। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে যে, লাচুং, লাচেন গুরুদোংমারসহ প্রতিটি এলাকা সাদা বরফের চাদরে ঢাকা রয়েছে। সেই খবর পর্যটকদের কাছে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে। যার ফলে পর্যটকদের সিংহভাগের ঢল এখন উত্তরের দিকে।
/anm-bengali/media/post_attachments/lingo/styles/medium_crop_simple/public/images/story/202404/whatsapp_image_2024-04-12_at_11.04.46.jpeg)
এ ক্ষেত্রে প্রসঙ্গত, বড়দিনের প্রাক্কালে তুষারের টানে যে এই ভিড়, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। পর্যটকদের এমন ভিড়ে সড়ক নিষেধাজ্ঞাও প্রত্যাহারে কার্যত বাধ্য হল মঙ্গন জেলা প্রশাসন। উল্লেখ্য, সম্প্রতি চলতি মাসের ১০ ই ডিসেম্বর লাচেন খুলে দেওয়া হলেও, টুং-নাগা সড়কে যান চলাচলে সময় বেঁধে দিয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু ওই নিষেধাজ্ঞা গতকাল শুক্রবার থেকে উঠে গেল। জানা গিয়েছে, এখন রোজ সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত যান চলাচলে অনুমতি মিলবে। মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে সে কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
/anm-bengali/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/11/lachung.jpg)
এ ক্ষেত্রে বলা বাহুল্য যে, বড়দিন ও নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত দার্জিলিং ও সিকিমে যা বুকিং রয়েছে তাতে পুজোর সময়ে হয়ে যাওয়া ক্ষতির ধাক্কা অনেকটা মেটানো যাবে বলে আশাবাদী পর্যটন ব্যবসায়ীরা। ফলে এক বছরের ধাক্কা সামলে নতুন করে হাসি ফিরেছে উত্তর সিকিমে। বাবা মন্দির হোক কিংবা চুংথাংয়ের রাস্তা, সবই এখন সাদা বরফের চাদরে মোড়া।
/anm-bengali/media/post_attachments/abp/2022/Dec/1672259157_snow.jpg)
এই বিষয়ে, হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলছেন, '' পর্যটন ক্ষেত্রে পুজোর সময় আমাদের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু এবার যেভাবে মানুষ বুকিং করেছেন তাতে রাজ্যের পর্যটন শিল্প ও অর্থনীতি অনেকটাই চাঙ্গা হয়ে উঠবে বলে আশাবাদী আমরা। '' পর্যটন শিল্পের হাল ফেরার সেই আশায় দিন গুনছেন এলাকার মানুষ থেকে প্রশাসন।
/anm-bengali/media/post_attachments/3831d5c9-abe.png)