নিজস্ব সংবাদদাতা: ভারতের ছাত্র ফেডারেশন পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির ডাকে ২৮ জানুয়ারি জেলা শাসকের দফতরে অভিযান করে। স্কুল স্তর থেকে কলেজ স্তর অবধি প্রত্যেক ক্ষেত্রেই ছাত্রছাত্রীরা নির্দিষ্ট কিছু সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। স্কুলের বার্ষিক ফি সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ২৪০ টাকার বেশি নেওয়া যায়না। অথচ পূর্ব বর্ধমান জেলায় অধিকাংশ স্কুলেই ২৪০ টাকার অধিক ফি নেওয়া হচ্ছে, এবং অনেক ক্ষেত্রে সঠিক রশিদ ছাড়াই এই অর্থ গ্রহণ করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, কম্পোজিট গ্রান্টের বরাদ্দ অর্থ এক বছরের বেশ সময় ধরে বকেয়া পরে রয়েছে। স্কুলে সঠিক পরিকাঠামো, ছাত্র অনুপাতে পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাবে স্কুলগুলো উঠে যেতে বসেছে। সাব ডিভিশনের জেনারেল ডিগ্রি কলেজ গুলোয় মেয়াদোত্তীর্ণ ছাত্র সংসদ অবৈধ ভাবে কলেজের বিভিন্ন কাজ পরিচালনা করছে, তাদের পরিচালিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে অর্থ বরাদ্দ করা হচ্ছে। স্কুল বা কলেজ ক্যাম্পাস কোথাও জিএস ক্যাশ সেল নেই। কার্যকরী স্যানিটারি ন্যাপকিনের ভেন্ডিং মেশিন নেই। এগুলো সহ আরও নানান সমস্যায় ছাত্রছাত্রীরা ভুক্তভুগী।
ডিআই অফিসে স্কুলের উপরে উল্লেখিত সমস্যা ও কলেজের সমস্যাগুলি নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে কলেজ কর্তৃপক্ষ ও বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানালেও আখেরে কোনও সমাধান হয়নি। তাই এবার পূর্ব বর্ধমানের সর্বোচ্চ আধিকারিক জেলা শাসকের কাছে এসএফআইয়ের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি প্রদান করা হল।
মূলত, ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক উপায়ে ছাত্রসংসদ নির্বাচন, স্কুলের বর্ধিত ফি ফেরত, বকেয়া কম্পোজিট গ্রান্ট প্রদান এবং বরাদ্দ বৃদ্ধি, স্কুলে পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ, প্রতিটি ক্যাম্পাসে GSCASH গঠনের দাবি নিয়ে এই অভিযান করা হয় এবং জেলা শাসককে ডেপুটেশন দেওয়া হয়।