নিজস্ব সংবাদদাতা, মেদিনীপুরঃ নিম্নচাপের জেরে অটো ভারী বৃষ্টির ফলে বন্যায় প্লাবিত হয়েছে হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর এবং বাঁকুড়ার বহু এলাকা। পুলিশ-প্রশাসনের তরফে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে জলবন্দি মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ। বন্যার্ত মানুষকে বাঁচাতে পুলিশ-প্রশাসনকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। স্পিডবোট, নৌকো নিয়ে বানভাসি এলাকাগুলিতে চলছে লাগাতার টহল।
পাশে আছি
বন্যায় প্লাবিত হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর এবং বাঁকুড়ার বহু এলাকা। পুলিশ-প্রশাসনের তরফে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে জলবন্দি মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ। বন্যার্ত মানুষকে বাঁচাতে পুলিশ-প্রশাসনকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন… pic.twitter.com/ErSSijvEmh
এ ক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, গতকাল ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘাটালে রানির বাজারে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনের পর মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি মেদিনীপুর সারকিট হাউসে উদ্দেশ্যে রওনা দেন। বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে মুখ্যমন্ত্রী পুরো বিষয়টি দেখছেন বলে বানভাসি মানুষদের আশ্বাস দেন। মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশও দেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, '' এটি ম্যান মেড বন্যা। রাজ্যকে না জানিয়ে কেন্দ্র সরকার বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়ার কারণেই এই বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ''
এছাড়াও, টেলিফোনে তিনি কথা বলেন জেলা প্রশাসনের সঙ্গে। কোন কোন এলাকা প্লাবিত, জলবন্দি কতজন মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের ত্রাণের ব্যবস্থা-সবকিছুরই খোঁজ নেন। উল্লেখ্য, ভারী বৃষ্টির জেরে একাধিক জায়গায় নদীতে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। জলের তোড়ে ভেঙে গিয়েছে একাধিক বাঁধ এবং পুল।