নিজস্ব সংবাদদাতা: আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার কাছে সত্যি অসহায় সাধারণ মানুষ। একদিকে, যেমন তিস্তার জলস্তর ক্রমেই বাড়তে শুরু করেছে। ঠিক সেই সময় সিকিমের ছাঙ্গুতে তুষারপাত শুরু হয়েছে। সাধারণ নভেম্বরের সময় থেকে হালকা তুষারপাত শুরু হয়। কিন্তু হঠাৎ এই সময় তুষারপাতে অবাক সাধারণ মানুষ। শুক্রবার ছাঙ্গু ও চোপতা ভ্যালি এদিন সাদা বরফের চাদরে মুড়ে গিয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
পাহাড়ে লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে। প্রবল বৃষ্টির জেরে তিস্তার জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে। দোমহনি থেকে তিস্তায় বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত অসংক্ষিত এলাকায় জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। অন্যদিকে তিস্তার মেখলিগঞ্জ থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। নতুন করে উত্তরবঙ্গ ও বাংলাদেশের খানিকা অঞ্চল বন্যার কবলে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুক্রবার সকাল থেকেই গাজলডোবার তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া শুরু হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১টা পর্যন্ত ২৭০০ কিউমেকের বেশি জল ছাড়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
তিস্তার জল বেশ কিছু অঞ্চলে বিপদ সীমার ওপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে। রাজগঞ্জ ব্লক, ক্রান্তি, ময়নাগুড়ি, জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের তিস্তাপাড়ের নিচু এলাকাগুলোতে জল ঢুকতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।