ফের পাক হানার ভয়! মোদীর ভাষণের পরেই অমৃতসরে ব্ল্যাক আউট ঘোষণা, বাজছে সাইরেন
ব্যান পিরিয়ডে মৎস্য দফতরের তরফ থেকে চলছে বাড়তি নজরদারি
অপারেশন সিঁদুর কোনও অভিযানের নাম নয়, ভারতীয়দের আবেগের নাম! কী বললেন প্রধানমন্ত্রী
BREAKING: ধর্মের ভিত্তিতে ভারতের একতা নষ্ট করতে পারবে না জঙ্গিরা! কড়া বার্তা প্রধানমন্ত্রীর
BREAKING : জল আর রক্ত একসাথে বইতে পারে না ! পাকিস্তানকে বড় বার্তা দিলেন মোদি
BREAKING: বাহাওয়ালপুর এবং মুরিদকে- নাম উল্লেখ করে বিশেষ দাবি করে দিলেন মোদী!
BREAKING: অপারেশন সিঁদুরে প্রমাণিত হয়েছে পাক সরাসরি জঙ্গিদের মদত দেয়! গর্জে উঠলেন প্রধানমন্ত্রী
BREAKING : নিউক্লিয়ার শক্তিকে ভয় করে না ভারত ! বড় দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি
পড়ুয়াদের অস্বাভাবিক মৃত্যু, বিশেষ কমিটি গড়ল খড়গপুর আইআইটি

হাতি দেখার নেশায় প্রাণ গেল স্কুল ছাত্রের

শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়।

author-image
Adrita
New Update
আবাসনের লিফট থেকে পড়ে মৃত্যু ব্যক্তির

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা, কেশিয়াড়িঃ বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ফের কেশিয়াড়িতে হাতির হানায় মৃত্যু এক স্কুল ছাত্রের। মৃত ছাত্রের নাম দেবপ্রিয় মাহাত (১৪)। বাড়ি কেশিয়াড়ির পারুয়া গ্রামে। চলতি বছরের মার্চ মাসে কেশিয়াড়িতে হাতির হানায় মৃত্যু হয় এক স্কুল শিক্ষকের। এরপর গতকাল (বৃহস্পতিবার) কেশিয়াড়ির পাথরহুড়ির জঙ্গলে ৬০টি হাতির একটি দল সুবর্ণরেখা নদী পেরিয়ে প্রবেশ করে। বিকেল হলে নেমে পড়ে লোকালয়ের ধান জমিতে। মশাল বাহিনী হাতিগুলিকে কলাইকুন্ডার দিকে পাঠানোর চেষ্টা করে। কিন্তু হাতি বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে ছড়িয়ে পড়ে জঙ্গলে। ফলে রাতভর হাতির পালকে সরাতে সক্ষম হয়নি মশাল বাহিনী। তবে পাথরহুড়ির জঙ্গল থেকে হাতির পাল পৌঁছে যায় হাতিগেড়িয়া এলাকার জঙ্গলে।

১১

হাতির পালের উপস্থিতি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। সকাল থেকেই জঙ্গলে ভিড় করে অতিউৎসাহিত মানুষজন। শুক্রবার সকালে হাতি দেখতে গিয়ে এক যুবক আহত হন। জানা গিয়েছে, জঙ্গলের ভেতরে হাতি দেখতে প্রবেশ করে ওই যুবক‌। সেই সময় একটি হাতি তাড়া করে নিয়ে এলে দৌড়ে পালাতে গিয়ে গাছে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যায়। পরে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা করায়। তারপরেই বিকেলে মৃত্যুর ঘটনা ঘটলো ওই জঙ্গলেই। বনদপ্তর ও স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, ওই কিশোর অন্যান্যদের সঙ্গেই হাতি দেখতে গিয়েছিল। সেই সময় হাতির দলের মধ্য থেকে একটি হাতি তাড়া করে নিয়ে এলে পড়ে যায়। হাতিটি শুঁড়ে ধরে আছাড় মারলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর যায় বনদপ্তরে।

বন কর্মীরা আসার আগেই ওই জঙ্গল ছেড়ে সবাই পালিয়ে যায়। ফলে বনকর্মীরা এসে মৃতদেহ খুঁজে পায়নি (সন্ধ্যা সাতটায় শেষ খবর নেওয়া পর্যন্ত)। সন্ধ্যাবেলা বিশাল মশাল বাহিনী নিয়ে জঙ্গলের ভেতরে প্রবেশ করে ওই ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধারে। এক বনকর্মী জানাচ্ছেন, দুর্ঘটনা ঘটার পর কয়েকজন ছবিও তুলেছেন মৃত ছাত্রের। তারপরে সবাই পালিয়ে গিয়েছে। কেউ না থাকায় আমরা আসার পর আর ঘটনাস্থল খুঁজে পায়নি। যে কারণে খুঁজতে সময় লাগছে।

খড়্গপুর বন বিভাগের ডিএফও মণিশ যাদব বলেন, " একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। সকাল থেকেই বনকর্মীরা ওই এলাকায় মাইকিং করে জঙ্গলে প্রবেশ না করার বার্তা দিয়েছিলেন। হাতির দলটিকে অন্যত্র সরানোর চেষ্টা চলছে। মানুষজনকেও ওই জঙ্গলে প্রবেশ না করা এবং জঙ্গলপথ ব্যবহার না করার বার্তাও দেওয়া হচ্ছে। "