নিজস্ব সংবাদদাতা: একের পর এক স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ ও খুনের পর, এবার ছাত্রীর যৌন নির্যাতনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল কুমারগ্রাম ব্লকের নারারথলি এলাকায়। রবিবার বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে টিউশন পড়তে যাচ্ছিল একাদশ শ্রেণীর ওই নাবালিকা ছাত্রী। জাতীয় সড়কে ওঠবার আগে এলাকার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে জঙ্গল ঘেরা জায়গায় এক ব্যক্তি ওই নাবালিকাকে হাত ধরে টেনে জঙ্গলের ভেতর নিয়ে যায়। সেখানে ওই নাবালিকার যৌনঙ্গে বাইকের চাবি ঢুকিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে বলে অভিযোগ।
ঐ স্কুল ছাত্রী চিৎকার করলে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। এরপর স্থানীয় মানুষ ওই নাবালিকা কে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। যৌনাঙ্গ থেকে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণ হতে থাকায় তার দিদিমা নাবালিকাকে কামাখ্যাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে পুলিশে অভিযোগও জানায় ওই মেয়েটির পরিবার।
মেয়েটির যৌনাঙ্গ থেকে রক্ত ক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায়, আজ তাকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়। ছাত্রীটির অস্ত্রোপচার করে ডাক্তার। এই মুহূর্তে স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে সে।
ঘটনাস্থলের পাশেই রয়েছে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। তার পাশেই জঙ্গলে দিন ও রাতে বসে মদের আসর। দুষ্কৃতীদের আনাগোনা রয়েছে সেখানে, এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের।
প্রশাসনের কোনো হেলদোল নেই। স্থানীয় মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে তাই উদ্বিগ্ন গ্রামবাসীরা।
আলিপুরদুয়ার পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী এই বিষয়ে জানান, “আমাদের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে। আমরা কেস স্টার্ট করেছি। পুলিশ তদন্ত করছে”।
আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতাল এর অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার গৌরব ভট্টাচার্য জানান, মেয়েটি এখানে ভর্তি হয়েছে। তাঁর অস্ত্রোপচার হয়েছে। আপাতত সে সুস্থ আছে”।
তবে বারবার এই ঘটনা মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে যে বারবার প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আর যা আরও আতঙ্কিত করে তুলছে মেয়ের মা-বাবাদের।