নিজস্ব সংবাদদাতা, দুর্গাপুরঃ এসবিএসটিসির 'চকচকে' টিকিট কাউন্টারে নেমেছে ঝাঁপ। চরম ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ। সরকারি বাসের পরিকাঠামো একেবারে ভেঙ্গে পড়েছে এটাই তার প্রমান সমালোচনায় বিরোধীরা। গুরুত্বপূর্ণ দুর্গাপুরের মুচিপাড়ায় দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার টিকিট কাউন্টার না থাকার জন্য চরম সমস্যায় মুখে পড়তে হতো সাধারণ মানুষকে। অনেক সময় সেখানে বাস না থেমেই চলে যেতো।
/anm-bengali/media/post_attachments/45fa2982-a89.png)
সেই সমস্যার কথা মাথায় রেখে ২০১৯ সালে আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের অর্থনুকুল্য ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার টিকিট কাউন্টার করা হয়। ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক হয়ে ধর্মতলা, করুণাময়ী, শিলিগুড়িসহ উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে যাওয়া যায়। সেই কাউন্টার হওয়ার জন্য চরম সুবিধা হচ্ছিল। সূত্রের খবর, ওই কাউন্টারটি লিজ নিয়ে চালাতো দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি সংস্থা। তারা ২০২৪ এর ডিসেম্বর মাস থেকে কখনো সার্ভার ডাউন কখনো টিকিট নেই বলে যাত্রীদের ফিরিয়ে দিত। ২০২৫ সালের প্রথম থেকেই ঝাঁপ বন্ধ করে দেয় ওই টিকিট কাউন্টারের। সেখানে টিকিট কাটতে গিয়ে দুর্ভোগের মুখে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। বাসের সময়ও জানা যাচ্ছে না। সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে স্কুল কলেজ পড়ুয়াদেরও।
/anm-bengali/media/post_attachments/6fde7484-044.png)
টিকিট না পেয়ে লোকনাথ আউলিয়া অভিযোগ করেন," টিকিট কাউন্টারে এসে দেখছি টিকিট কাউন্টার বন্ধ। এখন বাসের সময়ও জানতে পারছি না। টিকিটও পেলাম না। এখন কি করে ধর্মতলায় যাব সেটাই খুঁজে পাচ্ছিনা। " যদিও দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার চেয়ারম্যান সুভাষ মন্ডল বলেন," কি কারণে বন্ধ আমি দেখছি। দ্রুত যাতে ওই টিকিট কাউন্টারটি চালু হয় সেই ব্যবস্থা করব। সাধারণ মানুষের যাতে কোন সমস্যা না হয় সেদিকে তৎপর দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা। "