নমিনেশনে বাধা! এবার নতুন বার্তা দিলেন সোমিত্র, স্বাগত জানালেন দলে!

পঞ্চায়েত নির্বাচনের পঞ্চম পর্বের মনোননয়নকে ঘিরেও ব্যাপক অশান্তির ছবি ধরা পড়ছে সকাল থেকে। টিকিট না পেলে তৃণমূল প্রর্থীদের বিজেপিতে আহ্বান জানালেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।

author-image
Pallabi Sanyal
New Update
1


নিজস্ব সংবাদদাতা : পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন শুরু হতেই দিকে দিকে ছড়িয়েছে অশান্তি। বিরোধীদের নমিনেশনে বাধা প্রদানের অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। বাঁকুড়ায় মনোনয়নে বাধা পেয়ে রাস্তায় বসে পড়ে প্রতিবাদ করতে দেখা গিয়েছে বিজেপি নেতৃত্বকে। সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাইলট কারেও অশান্তির আঁচ লাগতে দেখা গিয়েছে। অশান্তির আবহেই এবার নতুন বার্তা দিলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সোমিত্র খাঁ। নতুন লাইভ ভিডিওয় তিনি সকলকে একসঙ্গে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বুধবার।  মনোনয়নের শুরুর দিন থেকেই বাঁকুড়ার জয়পুর, কোতুলপুর, ইন্দাস ও পাত্রসায়র এই চারটি ব্লকে অশান্তির অভিযোগ উঠেছে। গন্ডগোল না হলে বিজেপি আরো ভালো করে নমিনেশন করতে পারত বলেই দাবি সৌমিত্রর। রাজ্য নির্বাচন কমিশন নির্ধারিতপঞ্চম দিনের মনোনয়নের আগে তৃণমূল কর্মীরা টিকিট না পেলে তাদের বিজেপিতে স্বাগত জানালেন সৌমিত্র।

উল্লখ্য যে, মনোনয়নের শুরু পর্ব থেকেই এগিয়ে বিজেপি। অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল।  গোষ্ঠী কোন্দল বড় আকার ধারন করছে। বিজেপির বক্তব্য, গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে তৃণমূল নমিনেশন করতে পারছে না। এদিকে পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী অসন্তোষ মোকাবিলায় ব্যালটে  পছন্দের প্রার্থীর নাম জানিয়ে মতামত গ্রহণের ব্যবস্থা করে শাসক দল। তৃণমূলের সেই ভোটাভুটিতেও অব্যাহত ছিল অশান্তি। তবে অশান্তি না করে, মনোয়নে বাধা এলে জানাতে বলেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আশ্বাস দিয়েছিলেন তাদের মনোনয়ন করিয়ে দেওয়ার। এবার সৌমিত্রকে সরাসরি বলতে শোনা গেল, যাঁরা তৃণমূলে টিকিট পাচ্ছেন না, সেই বিক্ষুব্ধরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আমরা তাঁদের টিকিট দেওয়ার ব্যবস্থা করব। আপনাদের নেতারা ১২ বছর ধরে আপনাদের ঠকিয়েছে। এটাই শেষ সুযোগ। আসুন মনোনয়ন দিন।”  শাসক দলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বিজেপি সাংসদ এও বলেন, “আমাদের লক্ষ্য তৃণমূলকে হারানো।”


পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা হতেই যেভাবে রাজনৈতিক সংঘাত শুরু হয়েছে তাতে নির্বাচন কতটা শান্তিপূর্ণ হবে সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। এদিকে রাজ্য পুলিশের ওপরই ভোটে আস্থা রাখা হলেও অশান্তির আবহে  কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি তুলেছে বিরোধীরা। সেই দাবি মেনে নিয়েছে আদালত। এদিকে, কমিশনের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকেও নজর রয়েছে সব মহলের। বিনা অশান্তিতে ভোট কি সম্ভব? ৮ জুলাই জানা যাবে উত্তর। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন সকাল থেকে পরিস্থিতি কীরকম থাকে তা নিয়েও উদ্বিগ্ন রৈজনৈতিক মহলের একাংশ। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করালেও অশান্তি কম হয় কিনা সেটাই এখন দেখার।