পহেলগাঁও হামলার পর থেকে অমরনাথ যাত্রা নিয়ে এই প্রথম মুখ খুললেন মোদীর এই মন্ত্রী!
ক্রিমিয়া পুনরুদ্ধার করার মতো সামরিক শক্তি নেই! মেনে নিলেন জেলেনস্কি
মানুষকে বহিষ্কারের প্রচেষ্টায় "আদালত আমাদের পিছিয়ে দিচ্ছে"! দাবি ট্রাম্পের
চীনের শুল্ক প্রত্যাহার নয় "যদি না তারা এমন কিছু দেয় যা গুরুত্বপূর্ণ"! বললেন ট্রাম্প
এই চুক্তি স্বাক্ষর না করার জন্য ইউক্রেনকে ধমক দিলেন ট্রাম্প!
দেশগুলিকে ৯০ দিন সময় দিয়ে দিলেন ট্রাম্প!
নিরীহদের হত্যা পাকিস্তানের মূল্যবোধের পরিপন্থী! ভারতের বিরুদ্ধে বিশেষ প্রস্তাব পাশ
ভারত-পাক শত্রুতার মধ্যে এবার ঢুকে পড়লেন ট্রাম্প!
ইউক্রেন শান্তি চুক্তির প্রতিদ্বন্দ্বী বিষয়গুলি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে!

জল-বালতি নিয়ে আগুন নেভাতে নেমে পড়লেন বিডিও এবং ব্লক সহ কৃষি অধিকর্তা!

প্রশংসা চারিদিকে।

author-image
Anusmita Bhattacharya
New Update
firebdo

বনমালী ষন্নিগ্রাহী, বাঁকুড়া: জঙ্গলে আগুন লাগার ঘটনা নতুন নয়। পাতা ঝরার বসন্তে বারে বারেই অগুন লাগে। কখনও অসচেতনতার জন্য জঙ্গলে লেগে যায় আগুন, আবার কখনও একশ্রেণীর দুষ্টু লোকেরা জঙ্গলে আগুন লাগিয়ে দেয়। তারপর শুকিয়ে যাওয়া গাছ জঙ্গল থেকে কেটে নিয়ে যায়। জঙ্গলে আগুন লাগার ফলে একদিকে যেমন সবুজ ধ্বংস হয়, তেমনি জঙ্গলে আশ্রয় নেওয়া বিভিন্ন কীটপতঙ্গ এমনকি জীবজন্তর প্রাণহানি ঘটে। নষ্ট হয় প্রাকৃতিক ভারসাম্য। শুধু ধ্বংসই নয়, কখনও কখনও স্থানীয়ভাবে দাবানলের আকার নেয় সেই আগুন যা নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় প্রশাসনকে। শুশুনিয়া থেকে অযোধ্যা, ঝাড়গ্রাম সব জায়গাতেই কিছু দুষ্কৃতি মানসিকতার মানুষ জড়িয়ে থাকে জঙ্গলে আগুন লাগানোর ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে। বাঁকুড়ার সারেঙ্গার জঙ্গলে এরকম ছবি দেখা যায় প্রায় প্রতিবছরই। 

স্থানীয় সূত্রে খবর, কিছুদিন আগেই সারেঙ্গা দক্ষিণ বন বিভাগের রেঞ্জ অফিসের ঠিক পিছনের জঙ্গলেই আগুন লেগেছিল। ক্ষতি হয়েছে গাছ গাছালি থেকে জঙ্গলে আশ্রয় নেওয়া কীটপতঙ্গেরও। ফের আগুন লাগার ঘটনা ঘটে বাঁকুড়ার সারেঙ্গা ব্লকের খামানির জঙ্গলে। সেই সময় সারেঙ্গা ব্লক সহ কৃষি অধিকর্তা সজল পতিকে সাথে নিয়ে সারেঙ্গা ব্লকের গোয়ালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের খামানি গ্রামে সরকারী কাজের তাগিদে জাচ্ছিলেন বিডিও তমালকান্তি সরকার। হঠাৎ দেখেন জঙ্গলে দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। মানবিকতার তাড়নায় স্থির থাকতে পারেননি বিডিও এবং সহ কৃষি অধিকর্তা। নিজেরা ছুটে গিয়ে জঙ্গলের আগুন নেভানোর কাজে লেগে পড়েন। গাড়িতে জলের বালতি নিয়ে পাশের ক্যানেল থেকে জল তুলে তারা দুজন এবং গাড়ির ড্রাইভারকে সঙ্গে নিয়ে দীর্ঘ প্রায় এক ঘন্টার চেষ্টায় জঙ্গলের আগুন নেভাতে সমর্থ হন। অন্যদিকে শালডহার জঙ্গলেও আগুন নজরে পড়ে। সেখানেও নিজের চেষ্টায় আগুন নেভান সারেঙ্গার বিডিও তমাল কান্তি সরকার যা মানবিকতার অনন্য নজির। 

firebdo1

গত বছরও সারেঙ্গা ব্লকের কাঁড়ভাঙ্গার জঙ্গলে লেগেছিল আগুন। তখনও সেখানে আগুন নেভাতে নেমে পড়েছিলেন সারেঙ্গা বিডিও তমাল কান্তি সরকার, সারেঙ্গা থানা আই সি সুদীপ হাজরা। এবারও ফের জঙ্গলের আগুন নেভাতে এগিয়ে এলেন বিডিও তমাল কান্তি সরকার এবং ব্লক সহ কৃষি অধিকর্তা সজল পতি। যে কাজ করার কথা বনদফতরের সেই কাজই করলেন সারেঙ্গার বিডিও এবং ব্লক সহ কৃষি অধিকর্তা। সারেঙ্গা ব্লক সহ কৃষি অধিকর্তা সজল পতি বলেন, "বিডিও সাহেবের সাথে একটা কাজে আমরা খামানি গ্রামে যাচ্ছিলাম, তখন জঙ্গলে আগুন নজরে আসে। এরপর আমরা গাড়ি থেকে নেমে আগুন নেভাই। পরে বনদফতরে খবর দেওয়া হয়"। বিডিও তমাল কান্তি সরকার এই বিষয়ে বলেন, "চোখের সামনে এমন ঘটনা দেখে দাঁড়িয়ে থাকা যায় না"। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে যে যে কাজ বনদফতরের করার কথা সেই কাজ কি বনদফতর আদৌ করছে?