নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর: ২০০১ সালে বাম সরকারের আমলে রাজ্যের বিরোধী নেত্রী থাকাকালী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি জনসভা করতে এসেছিলেন কেশপুরে। সভা শুরু হওয়ার আগে কেশপুর ব্লকের ছুতারগেড়া এলাকায় মিছিলরত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের উপর সিপিএমের হার্মাদ বাহিনী বর্বর রচিত আক্রমণ করে। তারপরে প্রতিবাদে গর্জে উঠেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১ সালে রাজ্যে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর থেকে তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ব্লকের ছুতারগেড়া এলাকায় ধিক্কার মিছিল প্রতিবাদ সভা করে আসছে।
এদিন প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন, কেশপুরের বিধায়িকা তথা রাজ্যের মন্ত্রী শিউলি সাহা এবং রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব কুণাল ঘোষ। বাংলাদেশের যে ঘটনা বর্তমানে ঘটছে, আগেও সিপিএমের আমলেও বহু ঘটতো। কোন বাইরের রাজ্য থেকে যদি লোক আসে, সেই বিষয়টা দেখার কেন্দ্রের। কেন্দ্রীয় সরকারের যিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রয়েছেন তিনি বিষয়টি দেখুন। পাশাপাশি কুনাল ঘোষ বলেন আগের থেকে পশ্চিমবঙ্গের আইন শৃঙ্খলা অনেক ভালো। তবে পুলিশকে বলব আত্মতুষ্টিতে না থেকে আরো ভালোভাবে কাজ করতে হবে। কয়েকদিন আগে অসম ও ত্রিপুরা থেকে বহিরাগতরা এসেও অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছিল, এটা তো পুরো কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা। বিএসএফ যদি বর্ডার পাহারা দিতে ব্যর্থ হয় তাহলে তো এই ধরনের ঘটনা ঘটতেই পারে।
পাশাপাশি কেশপুরের মাটি যে সংগ্রামের মাটি, এদিন তাও তিনি উল্লেখ করে কর্মী সমর্থকদেরকে বার্তা দেন। সেইসঙ্গে তিনি বলেন কেশপুর থেকে লড়াকু নেত্রী শিউলি সাহা যেইভাবে সংগঠন করে কাজ করে চলেছে, আগামী দিনে আমরা কেশপুর থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষের মতামত নিয়ে ভোটে জয়লাভ করব।