নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আরজি করের নক্কারজনক ঘটনা নিয়ে সারা দেশ আজ তোলপাড়। আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের একের পর এক দুর্নীতির যোগ তদন্ত করতে নেমে সিবিআই আধিকারিকদের হাতে এসেছে। বহু বছর ধরে হাসপাতালে ঘটে চলা নানা দুর্নীতির আজ পর্দাফাঁস হয়েছে।
ইতিমধ্যে তিনি সিবিআইয়ের হাতে দুর্নীতি, ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় গ্রেফতারও হয়েছেন। তবে এবার সামনে এল সন্দীপ ঘোষের আরও বড় কীর্তি। সুত্রভ মারফত জানা গিয়েছে যে, প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের পদত্যাগের দাবী করা হয়েছিল ২০২১ সালের আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্ল্যাটিনাম জুবলিতে। প্রাক্তন অধ্যক্ষ সেই আন্দোলনকে প্রতিহত করার যথাসম্ভব চেষ্টা করেছিলেন। এমনকি তিনি আন্দোলনকারী ডাক্তারদের বাড়িতে চিঠি পাঠান। এছাড়াও, ফোন করে হুমকি দেওয়া হয় আন্দোলনকারী ডাক্তারদের অভিভাবকদেরকেও।
সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে যে, আন্দোলনকারী ডাক্তারদের মধ্যে বেশিরভাগ ডাক্তারদের রেজিস্ট্রশনও আটকে দেওয়া হয়েছিল। এমনকি, অনেককেই ওথ নিতে দেননি আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। এই বিষয়ে তৎকালীন জুনিয়র ডাক্তার সায়ন ও মৈনাক রায় নামের দুই চিকিৎসক সন্দীপের অফিসে গিয়ে প্রতিবাদ জানায়। তাদেরকে প্রিন্সিপালের অফিস থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। জুনিয়র ডাক্তাররা সন্দীপ ঘোষকে উদ্যেশ্য করে বলেন যে, '' বাড়িতে পুলিশ বা চিঠি পাঠানোর ফলে যদি বাবা মায়ের কিছু হয়ে য়ায় সেই দায় আপনাকে নিতে হবে। '' আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে রীতিমত হুঁশিয়ারি দেন জুনিয়র ডাক্তাররা।