অবৈধ ভাবে বালি তোলা নিয়েই বাড়লো যত গোল!

কোনো সুরাহা হয়নি, রমরমিয়ে চলছে বালি চুরি।

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
sandmining-759-ezgif.com-webp-to-jpg-converter (1).jpg

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: অবৈধ ভাবে বালি তোলা রমরমিয়ে চলছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে। এমনি অভিযোগ বিরোধী দল থেকে সাধারণ মানুষদের। এমনকি প্রতিদিনই ব্যাঙের ছাতার মতো নতুন নতুন বালির খাদান তৈরি হচ্ছে। প্রায় দুই বছর ধরে বালি খাদান এর সরকারি দরপত্র নেয়নি রাজ্য সরকার, তারপরেও জেলার প্রায় সর্বত্র অবাধে চলছে বালি খাদান ও নদী থেকে বালি তোলার কাজ। 

সরকারি দরপত্র মেনে রয়েলটি দিয়ে বালি কাটার নিয়ম মেনে, আগে সেই মতোই চলছিল বালি তোলার কাজ। সেখানেও যে সরকারকে ফাঁকি দিয়ে চুরি হতো না তা নয় কিন্তু বিগত প্রায় দুই বছর বালি তোলার জন্য সরকারি দরপত্র না হওয়ায় চুরির পরিমাণ বেড়েছে শত গুণ। বিরোধীদের অভিযোগ, বালি চুরির ঘটনায় তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা জড়িত। মাঝেমধ্যে লোক দেখানো অভিযান করা হয়ে থাকে জেলা প্রশাসন কিংবা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

উল্লেখ্য দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মূল তিনটি নদী আত্রেয়ী, পুনর্ভবা ও টাঙ্গন এই তিনটি নদীতেই বালি তোলার কাজ চলছে। আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়েই অবাধে চলছে বালি খননের কাজ। আইন না মেনে বা চুরি করে বালি তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য এতটাই যে তাদের সামনে গিয়ে কথা বলার মত সাহস সাধারণ মানুষের নেই।

bali fthghj

বালি চুরির ঘটনার রুখতে জেলার কুমারগঞ্জের তাজপুরের বাসিন্দা সহ কয়েকজন কৃষক ব্লক ভূমি দপ্তর জেলা ভূমি দপ্তর পুলিশ প্রশাসন এবং জেলা শাসক কে অভিযোগ জানিয়েছেন। তাদের অভিযোগ বালি চোরদের কারণে ক্ষেতের ফসল নষ্ট হচ্ছে। তারা আরো বলেন, বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ জানিয়েও, কোনো সুরাহা হয়নি, রমরমিয়ে চলছে বালি চুরি।

বিরোধী দলের অভিযোগ, বালি চোরদের দৌরাত্ম্য এতটাই যে নদীর চরে রীতিমতো বড় গাড়ি নামিয়ে কখনো মাঝ রাত থেকে কখনো ভোরবেলায় বালি চুরি করে নিয়ে যায় বলে বিরোধীদের দাবি। এইসবই জানে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন বলে অভিযোগ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির। কারণ স্থানীয় নেতা ও পুলিশের সহযোগিতা ছাড়া বালি চুরি করা সম্ভব নয়, ধরপাকর নামমাত্র করা হয় কিন্তু ওখানেই শেষ, চুরি রোধ করা যায় না। সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে তৃণমূল নেতাদের পকেটে টাকা ঢুকছে।

bali cdrtbvn

তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিরোধী দলের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানানো হয়েছে। বালির চরের টেন্ডার প্রক্রিয়া আপাতত বন্ধ থাকলেও, তা দ্রুত শুরু হবে। বর্তমানে প্রশাসনের নজরদারি রয়েছে।