সবং-এর বিদ্যালয়ে পালিত হল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস

সারাদিন ব্যাপী শুধুমাত্র “বাংলা ভাষায় কথা বলো” নামক একটি ছোট্ট প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। 

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
WhatsApp Image 2025-02-21 at 14.26.08 (1)

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: সবং পশ্চিম চক্রের আশাপুরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' পালিত হল মানব শৃঙ্খল রচনা, ভাষা শহীদদের স্মৃতি তর্পণ, নীরবতা পালন, প্রার্থনা সভায় রেডিওতে মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব বিষয়ের অনুষ্ঠান শোনানোর মধ্যে দিয়ে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পরিষদের পরিচালনায় সারাদিন ব্যাপী শুধুমাত্র “বাংলা ভাষায় কথা বলো” নামক একটি ছোট্ট প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। 

এই প্রতিযোগিতায় শর্ত ছিল সারাদিন কোন ভাবে অন্য কোন ভাষার ব্যবহার না করে শুধুমাত্র বাংলা ভাষাতেই কথা বলতে হবে এবং নিজেদের মধ্যে দুই মিনিট সময় অন্য ভাষাকে সরিয়ে শুধু বাংলায় নিজেদের কথাবার্তা চালিয়ে যেতে হবে। 

এই বিভাগে সেরা হয়ে, শিক্ষার্থী পরিষদের কৃষ্টিমন্ত্রী অঙ্কিতা মূর্মূ (পঞ্চম শ্রেণী)র কথায়, “প্রতিযোগিতাটি বেশ মজাদার। আমরা যে বাংলা ভাষায় কথা বলতে গিয়ে অনেকগুলি ভাষাকে বাংলা ভাষারূপে প্রয়োগ করি, তা আজকের এই প্রতিযোগিতা থেকে জানতে পারলাম। প্রথম হয়ে খুব ভালো লেগেছে”। 

WhatsApp Image 2025-02-21 at 14.26.07

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অনুপম বেরা জানালেন, “দৈনন্দিন বিদ্যালয় পরিচালনায় আমরা অনেক ইংরেজি ভাষা বাংলায় ব্যবহার করি। সেই জায়গায় আজকে আমরা সমস্ত ব্যবস্থাকে ঠিক রেখে একটি দিন মায়ের ভাষায় যাপনের মধ্য দিয়ে মাতৃভাষা দিবস পালনের এই প্রয়াসে, ছাত্র-ছাত্রী থেকে শিক্ষকমন্ডলী সবাই খুব আনন্দ পেয়েছি”। 

সহকারী শিক্ষক কমলাকান্ত খাটুয়া ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৩৫৮ সালের ৮ ফাল্গুনের সেই মর্মান্তিক ঘটনা তুলে ধরেন। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর জাতিসঙ্ঘের গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস'-এর সূচনা তথা ৩ অক্টোবর ২০২৪ এ বাংলা ভাষার ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা প্রাপ্তির ঘটনা তুলে ধরেন সহকারী শিক্ষকবৃন্দ। 

WhatsApp Image 2025-02-21 at 14.26.08

বিদ্যালয়ের সমস্ত ছাত্র ছাত্রী এবং শিক্ষক মহাশয়দের আন্তরিক অভিনন্দন জানান সভাপতি বটকৃষ্ণ পাল। সংশ্লিষ্ট চাউলকুঁড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের শিক্ষাবন্ধু সামসুদ্দিন মীর, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এমনভাবে পালনে অভিনন্দন জানান। সবং পশ্চিম চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সুরজিৎ ভূঁইয়া, বিদ্যালয়ের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান এবং ছাত্র-ছাত্রীদের এই দিবসের গুরুত্ব আরো বেশি বেশি করে জানাতে হবে বলে মত প্রকাশ করেন।