নিজস্ব প্রতিনিধি: পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুরের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ স্থাপনকারী ব্রিজ কাটাঁখালী ব্রিজ। কেলেঘাই নদীর ওপর কাঠের তৈরি ব্রিজ, একদিকে পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর, অপরদিকে পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ের মোহাড়, প্রতিদিন প্রায় স্কুল পড়ুয়া থেকে শিক্ষক শিক্ষিকা সহ শতাধিক গ্রামের মানুষজনকে যাতায়াত করতে হয় কাটাঁখালী ব্রিজের ওপর দিয়ে। কিন্তু খেয়াঘাট টেণ্ডার জটিলতায় কয়েক দিন ধরে বন্ধ কাটাঁখালী ব্রিজ। চরম ভোগান্তিতে নিত্যদিনের যাত্রীরা। স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, খেয়াঘাট টেণ্ডার জটিলতার কারণে নদীর দুই প্রান্তের গ্রামবাসীদের মধ্যে বিবাদ। তার জেরেই গত কয়েকদিন ধরে বন্ধ কাটাঁখালী ব্রিজ।
জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে গত ২৬ তারিখ কাটাঁখালী ব্রিজের খেয়াঘাট টেণ্ডার এর জন্য বৈঠক ডাকা হয়। সেই বৈঠকে কাটাঁখালী পার্শ্ববর্তী সবং ব্লকের মোহাড় অঞ্চলের অধীন থাকা খেয়াঘাট টেণ্ডার পান গোবিন্দ মান্না নামে এক ব্যাক্তি। তিনি টেণ্ডার পাওয়ার পর থেকেই চরম বিবাদ শুরু হয়।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর এলাকার কয়েকজন ব্রিজের পূর্ব দিকের প্রান্তে বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেয়। ঘটনার পর দুই পক্ষের মধ্যে চরম বিবাদ শুরু হয়। খেয়াঘাট মালিক গোবিন্দ মান্নার অভিযোগ জেলা পরিষদ থেকে আমাদের টেণ্ডার দেওয়া হয়। তারপর থেকেই ভগবানপুর এলাকার কিছু মানুষজন পূর্ব দিকের প্রান্তে কাঁটা থেকে শুরু করে বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেয়। যার ফলে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে দুই প্রন্তের নিত্যদিনের যাত্রীদের। তিনি জেলা পরিষদের কাছে দাবি রাখছেন খুব শীঘ্রই এই ঝামেলা মিটিয়ে সাধারণ মানুষের পরিষেবা দেওয়া জন্য।
অন্যদিকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর এলাকার বাসিন্দা প্রবীর সাঁতরা জানিয়েছেন, প্রত্যেক বছর খেয়াঘাট ডাক হয় জেলা পরিষদ থেকে গোপন ভাবে ডাক হয়ে যায়। কেউ বুঝতে পারে না। এই প্রান্তের মানুষজনকে না জানিয়ে সরকারী খেয়াঘাটের ডাক করা হয়েছে সেই কারণেই গ্রামের সাধারণ মানুষ ব্রিজ ঘিরে দিয়েছে।
অপরদিকে সবং ব্লকের ১১ নম্বর মোহাড় পঞ্চায়েতের প্রধান সরস্বতী বর্মন ভূঁইয়া বলেন, "খেয়াঘাট নিয়ে ডাক জেলা পরিষদ থেকে হয় এবিষয়ে আমার কিছু জানা নেই"।
সব মিলিয়ে নিত্যযাত্রীদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। যার ফলে ৫ কিলোমিটার বা ১০ কিলোমিটার ঘুর পথে যাতায়াত করতে হচ্ছে। কবে এই সমস্যার সমাধান হবে, সেদিকেই তাকিয়ে নিত্যদিনের যাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ।