নিজস্ব প্রতিনিধি: ২০১৮ সালের স্মৃতি উস্কে দিয়ে ফের বাঘের উপস্থিতির প্রহর গুনছে জঙ্গলমহল! বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানা সংলগ্ন এলাকায় ঘুরছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার। ইতিমধ্যে একাধিক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যদিও সেগুলি ভুয়ো বলে মনে করা হচ্ছে। তবে উসকে দিয়েছে লালগড়ের স্মৃতি। ২০১৮ সালে বাঘের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছিল লালগড়ের জঙ্গলে। যদিও প্রথমে ভুয়ো বলে দাবি করেছিল। তারপর বনদপ্তরের লাগানো ক্যামেরায় বাঘের ছবি ধরা পড়ে। তারপর কংসাবতী দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গিয়েছে। সেই বাঘকে রক্ষা করতে পারেনি বনদপ্তর শিকারীদের হাত থেকে। ১৩ এপ্রিল মেদিনীপুর সদরের বাঘঘরার জঙ্গলে 'খুন' হতে হয়েছিল। ওই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার অনেকটাই তৎপর বনদপ্তর। ঝাড়গ্রাম ও ঝাড়খণ্ডের সীমানা এলাকায় চলছে নজরদারি। আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার বার্তা দিয়েছেন বন আধিকারিকরা।
জানা গিয়েছে, দু-তিন দিন আগে ওড়িশার সিমলিপাল থেকে গুরবাঁন্দা হয়ে ঝাড়খণ্ডের চাকুলিয়ার রাজাবাসা জঙ্গলে পৌঁছায় বছর তিনেকের একটি বাঘ। ওই এলাকায় বনদপ্তর গ্রামবাসীদের জঙ্গলে গবাদি পশু চরাতে নিয়ে যেতে নিষেধ করেছে। ওখান থেকে বাংলার সীমানার দূরত্ব প্রায় ১০ কিলোমিটার। ফলে এ রাজ্যের জামবনি ও বেলপাহাড়ি সীমানায় কড়া নজরদারি রেখেছে ঝাড়গ্রাম বন বিভাগ। ঝাড়খণ্ড রাজ্যের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয় রাখা হয়েছে। ওই সমস্ত এলাকার বাসিন্দাদের আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে। বনদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, "ঝাড়খন্ড বনদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। জামবনি, গিধনি ও বেলপাহাড়ি রেঞ্জের সীমানাগুলিতে আমাদের কড়া নজরদারি রয়েছে। অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই।" তবে ঝাড়গ্রামের পাশাপাশি নজর রেখেছে মেদিনীপুর বনবিভাগও। ২০১৮ সালে মেদিনীপুর বন বিভাগেই প্রায় তিন মাস ধরে উপস্থিতি দেখা গিয়েছিল বাঘের। ছাগলের টোপ, সুন্দরবন থেকে বাঘ ধরার অভিজ্ঞ লোকজন আনা সহ একাধিক পরিকল্পনা করেও রক্ষা করতে পারেনি রয়েল বেঙ্গল টাইগারকে। সেই ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তি ঘটাতে চাইছে না বনদপ্তর।