সোনার দোকানে সিঁধ কেটে চুরি, তদন্তে পুলিশ

তদন্তে নেমেছে স্থানীয় থানার পুলিশ।

author-image
Adrita
New Update
ইয়

নিজস্ব সংবাদদাতা, লাউদোহাঃ চুরির আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না লাউদোহার ফরিদপুর থানা এলাকার মানুষদের। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। চলতি মাসে এলাও দেওয়ার ফরিদপুর থানা এলাকায় বেশ কয়েকটি পরপর চুরির ঘটনা সামনে আসে।

এবার চুরির ঘটনা ঘটলো লাউদোহার এমআইসি মোড় সংলগ্ন রাস্তার ওপর সোনারুপার দোকানে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে, প্রত্যেক দিনের মতোই মঙ্গলবার নিজের দোকান খুলতে দোকান মালিক রাহুল চৌধুরী। দোকানে সদর দরজার তালা খুলে ও দোকান খুলতে না পারায় সন্দেহ হয় পিছন দিকে গিয়ে দেখেন দোকানের পিছন দিকে সিন্দ কেটে চোরেরা চুরি করে চম্পট দিয়েছে। ঘটনাস্থলে তদন্তের জন্য এসেছেন লাউদোহার ফরিদপুর থানার পুলিশ। 

দোকান মালিক রাহুল চৌধুরী জানান, ' গতকাল রাত্রিবেলা দোকান বন্ধ করে তিনি বাড়ি গিয়েছিলেন। মঙ্গলবার সকালে দোকানের তালা খুলতেই তিনি লক্ষ্য করেন, দোকানের শাটার খোলা যাচ্ছে না, ভেতর থেকে আটকানো। মনে সন্দেহ হতেই দোকানের পিছন দিকে গিয়ে দেখেন সেখানে দরজার তালা ভেঙে সিন্দ কেটে চোরেরা দোকানের ভেতর সোনা ও রুপোর জিনিস নিয়ে চম্পট দিয়েছে। যদিও সোনা ও রুপো ছাড়াও দোকানে আর কিছু চুরি যায়নি বলে জানান তিনি। দোকানে নগদ অর্থ ছিল না এমনটাও জানান।

তবে চুরি যাওয়া জিনিসের আনুমানিক মূলক কুড়ি থেকে ত্রিশ হাজার টাকার মত  হবে বলে জানা যায়। রাহুল বাবু জানান তারা খুব বড় ব্যবসায়ী নন ছোট দোকান করেন, যে টাকার জিনিস গেছে তাতে তাদের সর্বস্ব চুরি যাওয়ার মতোই অবস্থা। দুইদিকে দোকানে চুরির ঘটনায় কান্নায় ফেটে পড়েন রাহুলের মা ববিতা চৌধুরী। পাশাপাশি চুরির খবর পেয়ে দোকানে কাঁদতে কাঁদতে ছুটে আসেন রাহুলের অসুস্থ বাবাও। '

বারবার লাউ ধোয়া এলাকায় চুরির ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।