দিগ্বিজয় মাহালী, পশ্চিম মেদিনীপুর : কোথাও প্রবল বৃষ্টি, কোথাও নেই। বৃষ্টির খামখেয়ালিপনায় ধান রোওয়া থেকে বিরত থাকতে হচ্ছে কৃষকরা। কোথাও আবার ধানের চারা গাছের বয়স বেড়ে যাওয়ায় শুকনো জমিতেই পুঁতে দেওয়া হচ্ছে। এমনই চিত্র দেখা গেল মেদিনীপুর সদর ব্লকের চাঁদড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দেপাড়া এলাকায়। মেদিনীপুর-ধেড়ুয়া সড়কের পাশেই কৃষি জমিতে দেখা গিয়েছে ধানের চারা গাছ পুঁতে দেওয়া হচ্ছে। জানতে পারা যায়, ওই এলাকায় ১০০ বিঘা জমিতে এরকম জল নেই। ধানের চারা গাছের বয়স বৃদ্ধি হয়ে যাচ্ছে। এমনিতেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় বৃষ্টির অভাবে পিছিয়ে গিয়েছে চাষ। মাঝে কিছুদিন ভারী বৃষ্টির পর জেলার অন্যান্য স্থানে জোরকদমে ধান রোওয়ার কাজ শুরু হলেও, পিছিয়ে গিয়েছে জঙ্গলমহলের একটা অংশ।
কৃষক ও খেতমজুর সংগঠনের জেলা সম্পাদক প্রভঞ্জন জানা বলেন, "জঙ্গলমহলের বেশ কিছু এলাকায় বৃষ্টির জন্য ধান রোওয়া হয় নি। চারা গাছ কেনোরকমে হালকা ভিজে থাকা জমিতে পুঁতে দিচ্ছেন কৃষকরা। সরকারিভাবে ক্ষতিপূরণের দাবি করছি আমরা।" দেপাড়া এলাকার কৃষক মদন দে জানিয়েছেন, "এখানে ১০০ বিঘা জমি রয়েছে। বৃষ্টির জল নেই, সেচের কোন ব্যবস্থা নেই। ফলে চারা গাছ বড় হয়ে যাওয়ায় এইভাবে শুকনো জমিতেই পুঁতে দেওয়া হচ্ছে। যদি পরে বৃষ্টি হয় তাহলে বেঁচে যাবে। অনেকটা ক্ষতি হয়ে গিয়েছে।" একই চিত্র কনকাবতী, মণিদহ, ধেড়ুয়া এলাকাতেও। একরের পর একর জমি ফাঁকা পড়ে রয়েছে। জেলা শাসক খুরশীদ আলী কাদরী জানিয়েছেন, "চাষিরা নিশ্চিন্তে চাষে নামুন। তাদের জন্য বাংলা শস্য বীমা খরিপ ২০২৩ চালু করা হয়েছে। এখানে কৃষকদের বীমার সম্পূর্ণ প্রিমিয়াম দেবে সরকার। চাষিরা প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস স্থানীয় অফিসে জমা করুন।"