নিজস্ব সংবাদদাতা, অন্ডালঃ ধসের আতঙ্ক অন্ডালের জামবাদ এলাকায়। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে অন্ডাল থানার অন্তর্গত জামবাদ খোলা মুখ খনি এলাকায়। কয়েক বছর আগেই ঠিক এই জায়গার একটু অদূরে ধসের কবলে আস্ত একটা বাড়ি মাটির নিচে চলে যায়। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল এক মহিলার। সেই জায়গার ঠিক সামনেই আবার ধসের ঘটনা ঘটায় আতঙ্কিত স্থানীয়রা।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে, ওই স্থান থেকে ৫০ মিটার দূরে রয়েছে একটি শিশু শিক্ষা কেন্দ্র। শুক্রবার ধসের ঘটনা সামনে আসাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে আসেন ইসিএলের আধিকারিকরা। স্থানীয়রা ইসিএলের কাছে পুনর্বাসনের দাবি জানায়। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন ইসিএলের একজন আধিকারিক। তাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় জনতা।
এরপর ঘটনাস্থলে আসেন তৃণমূল নেতা তথা বহুলা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বীর বাহাদুর সিং। তিনি সম্পূর্ণভাবে এই ধসের জন্য ইসিএল কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করে বলেন, ' এর আগেও এই এলাকায় ধসের কারণে মৃত্যু হয়েছিল এক মহিলার। মাটির নিচে থেকে তার দেহ তুলতে সময় লেগেছিল ৯ দিন। তখনো এলাকার মানুষ পুনর্বাসন চেয়েছিলেন, কিন্তু তা আজও হয়নি। '
তিনি আরও বলেন, ' ইসিএল কর্তৃপক্ষ শুধু তাদের উৎপাদনের দিকটি মাথায় রাখেন সাধারণ মানুষের সুরক্ষার ব্যাপারে নজর নেই তাদের। পাশাপাশি তিনি হুমকি চোরে বলেন আগামী সোমবারের মধ্যে ইসিএল কর্তৃপক্ষ এলাকার মানুষের সুরক্ষার ব্যাপারে সদর্থক ভূমিকা না নিলে মঙ্গলবার থেকে এলাকার মানুষকে নিয়ে আন্দোলনে নামবেন তারা। '
যদিও এই ব্যাপারে এক ইসিএল আধিকারিক বলেন, ' ধস কবলিত এলাকাটি মাটি দিয়ে ভরাট করার কাজ শুরু হচ্ছে শীঘ্রই। তবে পুনর্বাসনের ব্যাপারে তিনি কিছু উত্তর দিতে পারেননি।
এ ক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, অন্ডালের জামবাদ এলাকায় ধসের পাশাপাশি পড়াসিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কুলডাঙ্গা গ্রামে পড়াশিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ২০ ফুটের মধ্যে ধস নেমেছে। এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা কল্যাণ ঘোষ জানান, '' এই এলাকায় প্রায় ধসের ঘটনা ঘটে। ইসিএল কর্তৃপক্ষকে বারবার বলসত্য কোনো পদক্ষেপ নেয় না। শুধুমাত্র ধ্বসের জায়গাতে ছাই বা মাটি ভরাটি করে দেয়। যেভাবে ধস হচ্ছে তাতে যে কোন মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। '' এছাড়াও দ্রুত এলাকাবাসীদের পুনর্বাসনের দাবি জানান স্থানীয় বাসিন্দা কল্পনা বাউরি।