নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আজ সকাল থেকেই রাজ্যে চলছে পুনর্নির্বাচন। লোকসভা নির্বাচনে ছাপ্পা ও ভুয়ো ভোটিংয়ের অভিযোগে আবারও একবার রাজ্যে চলছে ভোটগ্রহণ পর্ব। আগামীকাল ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হতে চলেছে। অন্যদিকে আজ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার কয়েক ঘন্টা আগেই ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা। সোমবার পশ্চিমবঙ্গের বারাসাত ও মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের দুটি বুথে চলছে পুনর্নির্বাচন।
গতকাল বিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয় বারাসত লোকসভার দেগঙ্গার ৬১ নম্বর বুথ এবং মথুরাপুর লোকসভার কাকদ্বীপের ২৬ নম্বর বুথে আবার ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া হতে চলেছে। সেই মতই সোমবার সকাল থেকে নির্দিষ্ট সময়ে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। তবে পশ্চিমবঙ্গের এই দুটি বুথের পুনর্নির্বাচনেও আটকানো যায়নি অশান্তি। কদম্বগাছি এবং কাকদ্বীপের দুটি বুথেই পুলিশের বাধার মুখে পরেছে গেরুয়া শিবির। কাকদ্বীপে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে পুলিশের বচসাও শুরু হয়।
আজ সকালে বিজেপি নেতা কাশেম আলি কদম্বগাছির বুথে যান। সেখানে গিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, সেখানে সাধারণ ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও জানান যে, এই বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী কোনও কাজ করছে না। জানা গিয়েছে, ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দেওয়ার খবর পেয়েই বুথে যান বিজেপি নেতা কাশেম আলি।
প্রসঙ্গত, বুথের মধ্যে তাঁকে ঢুকতে বাধা দেয় পুলিশ। সেই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু করেন তিনি। যদিও পুলিশ জানিয়েছে যে, তিনি মিথ্যে অভিযোগ করছেন। ভোটাররা শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিচ্ছেন। পুলিশ আরও জানায়, বিজেপি নেতা সেই বুথের ভোটার নয়, তা সত্ত্বেও তিনি সেখানে গিয়ে অশান্তির সৃষ্টি করেছেন।
কদম্বগাছির বুথের পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি কাকদ্বীপেও হয়েছে। কাকদ্বীপে পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জরিয়ে পড়েন মথুরাপুরের বিজেপি প্রার্থী। কাকদ্বীপের ওই বুথে ভোট ঠিকমতো হচ্ছে না, এমনটাই অভিযোগ করেন তিনি। অভিযোগ ওঠে যে কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপি প্রার্থীকে বুথে ঢুকতে বাধা দিচ্ছে। বুথ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় আবার পুলিশের সঙ্গে বচসায় শুরু হয় বিজেপি প্রার্থীর। কেন্দ্রীয় বাহিনী টোটো দাঁড় করিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার প্রতিবাদ করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে পুলিশ।