নিজস্ব সংবাদদাতা: বঙ্গোপসাগরে তৈরী হচ্ছে নিম্নচাপ। এর প্রভাব যে একেবারেই বঙ্গে পড়বে না এমন নয়। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের কোনও জেলাতেই আবহাওয়ার তেমন বিশেষ হেরফের হবে না বলেই জানা গেছে। অর্থাত্ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি বিক্ষিপ্তভাবে চলবে এই দিকে। এরপর রবিবার থেকে একটু বাড়তে পারে বৃষ্টির দাপট। তবে সেটি উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বেশি দেখা যাবে।
নিম্নচাপের দাপটে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে শনিবারের পর থেকে বৃষ্টির দাপট বৃদ্ধি পাবে। এই কারণে মত্স্যজীবীদের সতর্ক করা হয়েছে। ২৮ তারিখ থেকেই উত্তাল হয়ে উঠবে সমুদ্র। তাই মত্স্যজীবীরা যাতে ২৮ তারিখ অর্থাত্ শুক্রবার থেকেই সাগরে মাছ ধরতে না যান তার জন্য সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
দক্ষিণবঙ্গের কোনও জেলাতেই আগামী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার তেমন হেরফের হচ্ছে না। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি দিনভর চলবে বলেই জানা গেছে। কলকাতা শহরেও কখনও মেঘ কখনও রোদ কখনও হালকা বৃষ্টি চলতে থাকবে। তবে ২৯ তারিখের পর থেকে বৃষ্টির দাপট বাড়তে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। বিশেষ করে উপকূলবর্তী জেলাগুলির বাসিন্দারা সাবধানে থাকুন।
নতুন করে একটি নিম্নচাপ তৈরি হচ্ছে বঙ্গোপসাগরে। সেটি দক্ষিণ ওড়িশা এবং উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলের কাছাকাছি রয়েছে এখন। ইতিমধ্যেই ঘূর্ণাবর্তে পরিণত হয়েছে সেটি। আগামী ২৪ ঘণ্টায় সেটি নিম্নচাপে পরিণত হতে চলেছে। সেদিকে নজর রেখেছে হাওয়া অফিস। তার কারণে বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। তবে এই মুহূর্তে মৌসুমী অক্ষরেখা বাংলার উপরে অবস্থান করছে না। তাই সেভাবে রাজ্যে বৃষ্টি হচ্ছে না। কিন্তু এর জেরে বেড়ে চলেছে বৃষ্টিতে ঘাটতির পরিমাণ।
এদিকে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আগামী পাঁচদিন উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বৃষ্টি হবে। কালিম্পং, কার্শিয়াং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি জেলাতে বৃষ্টির দাপট দেখা যাবে। বর্ষার শুরু থেকেই বৃষ্টির দাক্ষিণ্য পাচ্ছে উত্তরবঙ্গ। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে এবার বর্ষা প্রথম থেকেই খুব কম। কিছুতেই সেভাবে বর্ষার বৃষ্টি হচ্ছে না দক্ষিণবঙ্গের কোনও জেলাতেই। তাতে চাষের ক্ষতি হতে পারে। আর চাষের ক্ষতি হলে জিনিসের দাম বাড়তে শুরু করবে। ফলে অস্বস্তিতে পড়বে মধ্যবিত্ত মানুষ। তার উপর হুট করে বৃষ্টি হয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আবার বেড়ে যাচ্ছে গরম। এতে যেন অস্বস্তি আরো বেড়ে যাচ্ছে।