নিজস্ব সংবাদদাতা : অক্টোবরে দুর্গাপুজো। তার আগে সেপ্টেম্বরে রেল অবরোধ! তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে কুড়মি নেতাদের তরফে। স্বীকৃতি আদায়ের দাবিতে লাগাতার আন্দোলনের পর ফের একবার আন্দোলনের পথে পা বাড়াচ্ছেন কুড়মি নেতারা। ঝাড়গ্রামে আন্দোলনের ডাক দিয়ে রেল অবরোধের পূর্বাভাস দেন কুড়মি সম্প্রদায়ের নেতৃত্বরা।
/anm-bengali/media/post_attachments/7NbqAHy9zqgmFHO3NzbG.jpg)
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে জঙ্গলমহলে হামলার মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা থেকে তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। গ্রেফতারও হয়েছেন কুড়মি নেতারা। কম জল ঘোলা হয়নি তারপর। এবারের পঞ্চায়েতেও কুড়মি সম্প্রদায়ের লোকেরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন নির্দল হয়ে। জয়ীও হয়েছেন কেউ কেউ। ভোট পর্ব মিটতেই ফের পুরনো আন্দোলনের চিত্রটাই ফিরতে চলেছে। সাংবাদিক সম্মেলন করে ঝাড়গ্রামের কুড়মি নেতারা জানান,২০ সেপ্টেম্বর থেকে খড়গপুরে লাগাতার রেল অবরোধের পথে হাঁটতে চলেছে তারা। রাজ্য সরকারকে নিজেদের দাবির কথা জানালেও জনজাতি অন্তর্ভুক্তি করণের বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করা হলেও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ। সরকার বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসছে না বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। সদর্থক আলোচনার অভাব। দাবি এমনটাই। ফলে বাধ্য হয়ে নিজেদের দাবি পূরণের লড়াইয়ে ফের রেল অবরোধের পথে হাঁটতে চলেছেন তারা। কুড়মি সমাজের সাফ কথা, তাদের শ্রেণিভুক্ত করা হলেও এখনও পর্যন্ত আদিবাসী তকমা দেওয়া হয়নি। ২০১৭ সালে কালচারাল রিসার্চ ইন্সটিটিউটকে সমীক্ষা করিয়ে রাজ্য সরকার বিষয়টি পর্যালোচনা করার জন্য জানায়। পরবর্তীতে একাধিক বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য রাজ্যের কাছে চেয়ে পাঠায় কেন্দ্র। কিন্তু অভিযোগ, রাজ্য সরকার সেই বিস্তারিত তথ্য কেন্দ্রের কাছে পাঠাতে গড়িমসি করছে।
/anm-bengali/media/post_attachments/J3DSE3y1rrmf86NudGTA.webp)
পুজোর আগে খড়গপুরে রেল অবরোধ হলে বাতিল করতে হতে পারে বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান। লোকাল থেকে দূরপাল্লা, সব ট্রেন চলাচলেই প্রভাব পড়বে। কার্যত রেল অবরোধ করবে কুড়মিরা। পরিষবা বন্ধ থাকার আশঙ্কা। ব্যাপক ভোগান্তি হবে নিত্যযাত্রীদের। গুরুত্বপূর্ণ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ করার আগে রেল কোনো পদক্ষেপ করে কিনা বা প্রশাসনিক ভাবেও কোনো সিদ্ধান্ত হয় কিনা সেই দিকে তাকিয়ে আমজনতা। পিছনে ফিরে তাকালে কুড়মি আন্দোলনের তীব্রতা যে কতটা সে সম্পর্কে অবহিত হওয়া যায়। দিনের পর দিন রেল লাইনেই চলেছে অবরোধ। চাকা গড়ায়নি ট্রেনগুলোর। ফলে বিক্ষোভে আটকে পড়ে বহু ট্রেন। সবজি-ফল যা কিছু পণ্য ট্রেনের মধ্যে ছিল তাও নষ্ট হতে শুরু করে। মানুষও পড়ে চরম বিপাকে।