পৌষ সংক্রান্তির দিন সাঁকরাইলের জঙ্গলকুড়চি গ্রামে বড়াম থানের পুজো। এই পুজোর জন্য ইতিমধ্যে গ্রামে সাজো সাজো রব পড়ে গিয়েছে। এদিন বয়স্ক ও দুঃস্থদের পোশাক ও কম্বল বিতরণ করা হবে।
নিজস্ব সংবাদদাতা: বহু যুগ ধরে ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইলের জঙ্গলকুড়চি গ্রামে রয়েছে বড়াম থান। কমিটির সদস্যদের বড়াম দেবী স্বপ্ন দেন তাঁকে পুজো করার জন্য তারপর থেকেই কমিটির লোকজন বড়াম স্থানকে নিজেদের উদ্যোগে পরিষ্কার করা, রং করা এবং পুজোর সম্পূর্ণ আয়োজন করে আসছেন পৌষ সংক্রান্তির দিনে। এই বড়াম থানে প্রচুর ভক্তদের সমাগম হয়। অনেকে মানত করেন এখানে। সোনালি তথা ''গোল্ডেন শাওয়ার ট্রি'' কে ঘিরে আস্ত একটা মন্দির তৈরি হয়েছে এখানে। ঝাড়গ্রাম জেলায় যা বড়াম থান নামেই বেশি পরিচিত। সাঁকরাইল ব্লকের কুলটিকরী গ্রাম পঞ্চায়েতের জঙ্গলকুড়চি গ্রামে রয়েছে বড়াম থান। মকর সংক্রান্তির দিনে মনস্কামনা পূরণে সেই সোনালি গাছের নীচে হাতি আর ঘোড়ায় পুজো দেন জেলার হাজার হাজার মানুষ। জাতি-ধর্মের বেড়াজাল পেরিয়ে গ্রামের যুবকরাই বড়াম মায়ের পুজোর নেপথ্য কারিগর। এখন জোর কদমে চলছে পুজোর প্রস্তুতি পর্ব।
১৪ ই জানুয়ারি বড়াম থানে পুজো উদ্বোধনে গোপীবল্লভপুরের বিধায়ক ডাঃখগেন্দ্রনাথ মাহাতো উপস্থিত থাকবেন। সেই দিনে এলাকার বয়স্ক ও দুঃস্থদের জামা-কাপড় সহ কম্বল বিতরণ করা হয়। এছাড়া সংক্রান্তির পরের দিনে থাকছে খিচুড়ি প্রসাদ বিতরণ। উদ্যোক্তা বিষ্ণুপদ নায়েক জানান, পুজো ঘিরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে।