নিজস্ব সংবাদদাতা, জামুড়িয়াঃ স্থানীয় বেকারদের কর্মসংস্থানের জন্য কারখানা বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় মানুষজন। শিল্পাঞ্চলে এই ছবি সচরাচর দেখতে পাওয়া যায় কিন্তু, আজ এক অন্য ছবি দেখা গেল জামুড়িয়ার পড়াশিয়া কোলিয়ারিতে। এখানে দেখা যাচ্ছে কাজ শুরু করার দাবিতে পড়াশিয়া কোলিয়ারি উৎপাদন বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে পড়াশিয়া অঞ্চলবাসী। জমি দাতা এবং পড়াশিয়া গ্রাম কমিটির মুখ্য পরামর্শদাতা নয়ন গোপ জানান, '' চলতি বছরের ৫ই ফেব্রুয়ারি তারা খোলা মুখ খনির কাজ শুরু করা দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। তারপর থেকে খানিরকাজ চালু ছিল কিন্তু হঠাৎ খোলা মুখ খনির কাজ দীর্ঘ ১০ দিন ধরে বন্ধ করে দেয় একটি পরিবার সহ কিছু সমাজবিরোধী। ''
তিনি আরও জানান যে, '' এলাকাবাসী কোলিয়ারির উৎপাদন বন্ধ রেখে খোলা মুখ খনির কাজ শুরু করার জন্য বিক্ষোভ দেখাতে থাকে পড়াশিয়া গ্রাম , কুলদাঙা গ্রাম, পড়াশিয়া ঘোষপুকুর, পড়াশিয়া আদিবাসী এলাকার দুর্বগী মানুষ।
এলাকাবাসী যদি খোলা মুখ খনির কাজ শুরু করা দাবিতে বার বার বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তাহলে ইসিএল ম্যানেজমেন্ট কি ভূমিকা পালন করছে। ম্যানেজমেন্ট কি তাহলে দালালদের কথামতো কাজ করছে । নয়ন গোপ আরো জানান, '' যেখানে খোলা মুখ খনি শুরু হয়েছে সেখানে মাটির নিচে প্রায় ৩৫. ৬২ মিলিয়ন কয়লা মজুদ রয়েছে। তার সত্বেও ম্যানেজমেন্ট কর্তৃপক্ষ ওই খোলা মুখ খনির কাজ বন্ধ রেখেছে কি কারণে। তাহলে কি দালালের আঙ্গুলের ইশারাতেই চলছে ম্যানেজমেন্ট এবং খোলা মুখ খনির কাজ। যার জন্য আজ তারা বিক্ষোভ দেখাতে বাধ্য হয়েছেন। ''
ঘটনার জন্য পড়াশিয়া কোলিয়ারীতে মোতায়েন করা হয় ইসিএল এর নিরাপত্তারক্ষী জামুড়িয়া থানার অন্তর্গত কেন্দা ফাড়ির পুলিশ। তবে এই ব্যাপারে ম্যানেজমেন্ট কর্তৃপক্ষের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এই বিক্ষোভ প্রদর্শনে নেতৃত্ব দেন জমি দাতা এবং পড়াশিয়া গ্রাম কমিটির মুখ্য পরামর্শদাতা নয়ন গোপ। বিক্ষোভে সামিল হয় প্রবীর মন্ডল, অমর মণ্ডল,বরুন বারণ পাল , রবি হাঁসদা , নির্মল বাউরী ,আকাশ বাউরী, জিতেন বাউরী, বিকি বাউরী। এছাড়াও উপস্থিত হন গোয়ালা সমাজ বাউল সমাজ এবং আদিবাসী সমাজের কর্মীবৃন্দরা।