নিজস্ব সংবাদদাতা: বুধবার সকাল থেকে উত্তেজনায় ভরপুর ছিল নর্থ বেঙ্গল মেডিক্যাল কলেজ। টাকার বিনিময়ে টুকলি, চিকিৎসকদের বদলির হুমকির অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে নর্থ বেঙ্গল মেডিক্যাল কলেজে। অভিক দের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে। অভিক দে-র বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ কার্যত স্বীকার করে নিলেন ডিন। অভিক দের বিরুদ্ধে জুনিয়র ডাক্তারদের পাশাপাশি সিনিয়র ডাক্তারাও বিক্ষোভ দেখান। নর্থ বেঙ্গল মেডিক্যাল কলেজ জুড়ে অভিক দের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ে। অভিক দে-কে হাসপাতালে ঢুকতে দেওয়া হবে না বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পড়ুয়া, জুনিয়র চিকিৎসকরা।
অভিক দের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে হাজির হন অধ্যাপক ও বিভিন্ন বিভাগের প্রধানরাও। অভিযোগ উঠেছে, বিশেষ এক ছাত্র নেতার পরীক্ষার নম্বর সাদা কালি দিয়ে মুছে দেওয়া হয়েছে। পরে নতুন নম্বর দেওয়া হয়েছে। ডিনকে ঘিরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক, জুনিয়র চিকিৎসক, অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধানরা জানতে চান, কার নির্দেশে এটা হয়েছে। এক অধ্যক্ষ বলেন, "ধরে ধরে নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাকে বললে ফাইল দেখাতে পারি।" ডিন প্রথমে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করলেও আন্দোলনের চাপে মুখ খুলতে বাধ্য হন।
তিনি বলেন, তাঁকে মাঝে মাঝেই অভিক দে ফোন করত। পাশাপাশি তিনি বলেন, মাঝে মাঝে প্রিন্সিপাল স্যারও তাঁকে ফোন করতেন। তিনি জানান, পরীক্ষার সময় তিনি কড়া গার্ড দেওয়ার চেষ্টা করতেন। কিন্তু প্রিন্সিপাল ফোন করে ডেকে নিতেন। বলতেন বেশিক্ষণ গার্ড দিতে হবে না। যদিও প্রিন্সিপাল সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, "আমার কাছে কারও ফোন আসতো না।"
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ৯ আগস্টের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে লাল রঙের জামা পরা এক যুবককে দেখতে পাওয়া যায়। তখন থেকে প্রশ্ন ওঠে, সেমিনার রুমে লাল শার্ট পরা যুবকটি কে? এখানে কী করছে? লাল বাজারের তরফে জানানো হয়েছিল, ফিঙ্গার প্রিন্ট বিশেষজ্ঞ তিনি। পরে জানা যায়, ওই যুবকের নাম অভিক দে। ওই যুবক এসএসকেএমের সার্জারির পিজিটি। তিনি তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের নেতা তিনি। কিন্তু সেদিন সেমিনার হলে তিনি কী করছিলেন, সেই প্রশ্নের উত্তর জানা যায়নি।