হরি ঘোষ, দুর্গাপুর: প্রসূতির মৃত্যু। ভুল ইনজেকশনের অভিযোগে ব্যাপক উত্তেজনা দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। সঠিক তদন্ত না হলে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেতার। পরিস্থিতি সামাল দিতে পৌঁছল নিউ টাউনশিপ থানার বিশাল পুলিশবাহিনী এবং কমব্যাট ফোর্স।
মৃতা প্রসূতির নাম লক্ষ্মী মুর্মু (২২)। কাঁকসার বিদবিহারের সন্ধিপুরের ওই প্রসূতির পরিবারের অভিযোগ, প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে লক্ষ্মীকে ভর্তি করা হয় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। বুধবার লক্ষ্মী জন্ম দেয় সন্তানের। বুধবার রাতে পেটের যন্ত্রণা শুরু হয় তার। তারপরেই ইনজেকশন দেওয়া হয়। সেই ইনজেকশনের মৃত্যু হয় লক্ষ্মীর। চিকিৎসকের যতক্ষণ না শাস্তি হচ্ছে এবং কি কারনে মৃত্যু হল তার জবাব দেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি রোগীর আত্মীয়দের। বাবা রূপচাঁদ হেমব্রমের অভিযোগ, "বুধবার গভীর রাতে আমার মেয়েকে একটি ইনজেকশন দেওয়া হয়। তারপরেই কাঁপুনি শুরু হয়। তারপরেই মৃত্যু হয়। মেয়ের মৃত্যুর পরেও আমাদের জানানো হয়নি। সকালে এসে আমরা জানতে পারি। আমরা বিচার চাইছি"। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডা. ধীমান মন্ডল বলেন, "সব মৃত্যুই দুঃখজনক। তবে এই প্রসূতির মৃত্যুর আসল কারণ জানা যায়নি। মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে"। তৃণমূল নেতা পঙ্কজ রায় সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, "ইনজেকশন দেওয়ার পরই কাঁপুনি শুরু হয়েছিল লক্ষ্মীর সাথে আরো বেশ কিছু প্রসূতি মায়ের। তারপরই লক্ষ্মীর মৃত্যু হয়। আমরা সুপারের কাছে এবং পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। সুপার আশ্বাস দিয়েছেন তদন্ত কমিটি গঠন করে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করার। দ্রুততার সাথে মৃত্যুর কারণ জানাতে হবে অন্যথায় আমরা আদালতের পথে হাঁটব"।