নিজস্ব প্রতিনিধি, দুর্গাপুর: দুর্গাপুরের দুই পৃথক ঘটনায় ফের শাসকের সন্ত্রাসের ছবি সামনে এল। প্রথম ঘটনাটি ঘটে দুর্গাপুরের তিন নম্বর ওয়ার্ডের বিজোনের আইনস্টাইন এলাকায়। গত ১৩ই মে বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা নির্বাচনের দিন দুর্গাপুর পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের ডিআইভি স্কুলের ৭৯ নম্বর বুথে সিপিআইএমের পোলিং এজেন্ট ছিলেন প্রসূন পালিত। সেই দিন বেশ কিছু অচেনা মুখ ভোট দিতে এসেছিল। অভিযোগ, সেই দিন শুধু মাত্র বুথ স্লিপ দিয়ে ঐ লোকজন এসেছিল ভোট দিতে আর এর প্রতিবাদ করেছিলেন প্রসূন পালিত। তিনি আটকে দিয়েছিলেন ছাপ্পা ভোট। ভোট না দিয়েই ফিরে যেতে হয় ঐ লোকজনদের। সেইদিন থেকেই টার্গেট ছিলেন প্রসূন পালিত। আর এরপর গতকাল ভোটের ফল ঘোষণা হতেই রাতেই সিপিআইএমের ঐ পোলিং এজেন্টের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা চার চাকা গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীরা। প্রসূন বাবু ও তার পরিবারের অভিযোগ, এরা তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী। সেইদিন ছাপ্পা ভোট রুখে দেওয়াতেই তার ওপর এই আক্রমণ। এখন গোটা পরিবার প্রাণ সংশয়ে ভুগছে।
ঠিক এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে এবার দুষ্কৃতীদের টার্গেট দুর্গাপুরের দুই নম্বর ওয়ার্ডের মহুয়া বাগান এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ আলী শেখের মেয়ের দোকান। মহম্মদ আলী শেখ সিপিআইএমের পোলিং এজেন্ট ছিলেন মহুয়া বাগান শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে। এটাই ছিল তার অপরাধ। গতকাল রাত্রি দুটো নাগাদ মহুয়া বাগানে থাকা টেলারিং এর দোকানে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। এই ক্ষেত্রেও অভিযোগের আঙুল ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। একটি বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে টেলারিং এর দোকান করেছিলেন এই সিপিআইএম নেতার মেয়ে ফিরোজা খাতুন। এখন সব আগুনে পুড়ে যাওয়ায় খাবেন কী তা ভেবে কান্নায় ভেঙে পড়লেন তিনি। গোটা ঘটনায় টানটান উত্তেজনা দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর বিজোন এলাকার দুই প্রান্তজুড়ে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু ভোট পরবর্তী প্রতিহিংসার এই ছবিতে রীতিমত আতঙ্কিত বিরোধী শিবির এবং সাধারণ অসহায় মানুষ।