নিজস্ব সংবাদদাতা: এএনএম নিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে, বাংলাদেশের পরিস্থিতির সম্পর্কে বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক নীলাদ্রি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, "বাংলাদেশে যে ঘটনাটাকে আমরা ছাত্র আন্দোলনের নামে প্রচার করেছি সেটা একটি সন্ত্রাসবাদী আক্রমণ একটি নির্বাচিত সরকারের ওপর। এই ঘটনাটির পেছনে বিদেশি শক্তির হাত থাকা আশ্চর্যের বিষয় নয়। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে আঙ্গুল উঠছে।
কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি দ্বীপপুঞ্জ চেয়েছিল বাংলাদেশের থেকে এবং বাংলাদেশ সেই দ্বীপপুঞ্জ দিতে রাজি হয়নি। আবার শেখ হাসিনা যখন বাংলাদেশ থেকে বেরিয়ে এলেন তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত অস্বীকার করেছে কারণ তার উপর নাকি গণহত্যার অভিযোগ আছে তাই। অথচ ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী যার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আছে তিনি শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাচ্ছেন না, তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংসদেও বক্তব্য রাখার সুযোগ পেয়েছেন সাম্প্রতিককালে। সুতরাং, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যেই দ্বিচারিতা সেটা ভীষণ স্পষ্ট এবং এর পেছনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাত থাকাটা আশ্চর্যজনক নয়।
শেখ হাসিনা যেভাবে অর্থনৈতিকভাবে চীনের ঘনিষ্ঠ হচ্ছিলেন সেটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খুব ভালোভাবে দেখবে না এটাই স্বাভাবিক। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনুস তিনি কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খুব কাছের লোক এবং তার সরকারের আসাটাকে কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বাগত জানিয়েছে। এই বিষয়টিকে আমি চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লড়াইয়ের একটি ফলশ্রুতি হিসেবে আমি দেখছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য কায়েম করার বিভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছিল এবং হাসিনা সেসব মানেননি, তাই তার সরকারের আজ পতন হলো।"