দিগ্বিজয় মাহালী, পশ্চিম মেদিনীপুর : বিয়েবাড়ি উপলক্ষে বাড়িতে সাজো সাজো রব, গায়ে হলুদও সম্পন্ন, আর মাত্র কয়েক ঘন্টার অপেক্ষা। তারপরে আসবে বর, বিয়ের পিঁড়িতে বসবে নববধূ। এদিকে, মাত্র দুই মাস বাকি, বিয়ের কনের নাবালিকা থেকে সাবালিকা হতে। তাই বিয়ের মাঝপথে এসেই বিয়ে বন্ধ করল ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা।এমনই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের তাতারপুর গ্রামে। জানা যায়, তাতারপুর গ্রামের বাসিন্দা সন্টু মণ্ডল (Sontu Mondal) পেশায় কৃষক,আজ তার মেয়ের বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল,নাবালিকা মেয়ের বিয়ে,খবর পৌঁছে যায় চন্দ্রকোনা-১ ব্লকের বিডিও রথীন্দ্রনাথ অধিকারীর কাছে,বিডিওর নির্দেশে চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লক প্রশাসনের আধিকারিক ও চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ পৌঁছে যায় নাবালিকার বাড়িতে,সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখে জানা যায়, নাবালিকা থেকে সাবালিকা হতে এখনো দুই মাস বাকি আছে বিয়ের কনের। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তাই নাবালিকার বিয়ের বন্ধ করল ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা।ওই নাবালিকার পরিবারের সকল সদস্যকে বুঝিয়ে তাদের মুচলেখা নিয়ে বিয়ে বন্ধ করলেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। এমনকি পরিবারের সদস্যদের প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয় , সরকারি নিয়মকে তোয়াক্কা না করে নাবালিকার বিয়ের ব্যাবস্থা করলে আইনানুগ ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।সম্প্রতি ঘাটাল মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় একের পর এক নাবালিকা বিয়ের আয়োজনের ঘটনা সামনে আসে,যদিও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রশাসন খবর পেয়ে তা বন্ধের উদ্যোগ নেয়।কিন্তু প্রশ্ন উঠছে বিশেষ করে ছাত্রীদের কথা ভেবে কন্যাশ্রী,রূপশ্রী সহ সরকারের একাধিক প্রকল্প থাকা সত্ত্বেও নাবালিকা বিয়ের প্রবণতা কমার জায়গায় ক্রমশ বেড়ে চলেছে জেলার ঘাটাল,দাসপুর,চন্দ্রকোনায়। সচেতনতা বৃদ্ধিতে স্কুলে স্কুলে কন্যাশ্রী থেকে বন্ধু ক্লাব তৈরি করে নাবালিকা বিয়ে ঠেকাতে উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা যে কেবল নামমাত্র তা গত কয়েকদিনের প্রশাসনের তরফে একাধিক নাবালিকা বিয়ে বন্ধের মতো ঘটনা থেকেই স্পষ্ট।এনিয়ে উদ্বেগে ব্লক ও মহকুমা প্রশাসনও।