নিজস্ব সংবাদদাতা : দিন তিনেক বাদেই বিয়ের সানাই বাজার কথা। তবে তার আগেই পেশায় পুলিশকর্মী ছেলের আত্মহত্যার ঘটনার খবর পরিবারে পৌঁছাতেই, তড়িদাহত গোটা গ্রাম। আর ৩ দিন বাদেই ছিল বিয়ে। ছুটি নিয়ে আজই বাঁকুড়ার হীড়বাঁধ থানার বড় আড়াল গ্রামে নিজের বাড়িতে ফেরার কথা ছিল পেশায় পুলিশ কর্মী হিমাংশু মাজির। কিন্তু তার আগেই পরিবারের এল অন্য খবর। আজ সকালে পরিবারে খবর আসে, চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালের পুলিশ লক আপে নিজের সার্ভিস রিভলবার থেকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে পুলিশ কনস্টেবল হিমাংশু। এমন ঘটনার খবর জানার পরই পরিবারের লোকজন রওনা দেন চুঁচুড়ার উদ্যেশ্যে। কিন্তু কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা যেন কিছুতেই বুঝেই উঠতে পারছেন না হিমাংশুর গ্রামের বাসিন্দারা। হিমাংশুর পরিবার সূত্রে খবর, আগামী ৩ মার্চ বাড়ির পুলিশ কর্মী ছেলের বিয়ে। বিয়ের আয়োজন শুরু হয়ে গিয়েছিল গ্রামের বাড়িতে। প্যান্ডেল তৈরীর কাজ শুরু হয়েছিল। ছুটি নিয়ে আজই বাঁকুড়ার হীড়বাঁধ থানার বড় আড়াল গ্রামে পৌঁছে যাওয়ার কথা ছিল চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের র্যাফে কর্মরত হিমাংশু মাজির। এমনিতে শান্ত স্বভাবের ছোট থেকেই মেধাবী হিসাবে এলাকায় পরিচিতি ছিল হিমাংশুর। অত্যন্ত মিশুকে হিমাংশুর বন্ধু বান্ধবও কম নয়। কিন্তু সেই হিমাংশুই নিজের সার্ভিস রিভলবার থেকে মাথায় গুলি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করতে পারে তা ভাবতে পারছেন না গ্রামের বাসিন্দারা। পরিবার সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় হিমাংশুকে কলকাতায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আজ ভোরে ঘটনার খবর গ্রামে পৌঁছাতেই হিমংশুর বাবা ও মা গাড়ি নিয়ে চুঁচুড়ার উদ্যেশ্যে বেরিয়ে পড়েন। বাড়িতে বয়স্ক দাদু ও ঠাকুমা আছেন। তাঁদের এই ঘটনার কথা জানানো হয়নি। স্থানীয়দের দাবী এই ঘটনার প্রকৃত তদন্ত করে আসল ঘটনা সামনে আনা হোক।