ছিনতাইয়ের ঘটনার কিনারা করল পুলিশ

ছিনতাইয়ের ঘটনায় ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ ওড়িশা ডাকবাংলো এলাকায় একটি দোকানের সন্ধান পায়। চুরির হওয়া সোনা সেই দোকানে গলিয়ে নতুন গয়না তৈরি করে বিক্রি করা হতো।

author-image
Pallabi Sanyal
New Update
police theft.

গ্রেফতার ভিন রাজ্যের দুই দুষ্কৃতী

নিজস্ব প্রতিনিধি,  পূর্ব মেদিনীপুর :  ৬ মাস আগে পটাশপুরে ব্যবসায়ী কাছ থেকে স্বর্ণালঙ্কার সহ টাকার ব্যাগ ছিনতাইয়ের ঘটনার কিনারা করলো পুলিশ। ওড়িশা থেকে ছিনতাই হওয়া আংটি ও নেকলেস, হার মিলিয়ে ২০০ গ্রাম সোনা সহ ৮০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হল। ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে ভিন রাজ্যের দুই দুষ্কৃতী। 
গত বছর অক্টোবর মাসে পটাশপুর থানার মংলামাড়ো বাজারে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী দোকান বন্ধ করে ব্যাগে দোকানের গয়না সহ টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সেই সময়ে দুই দুষ্কৃতী বাইকে এসে ব্যবসায়ীর ব্যাগ ছিনতাই করে চম্পট দেয়। তার কিছুদিন আগে ১০ অক্টোবর সেই মংলামাড়ো বাজারে একটি ব্যাঙ্ক থেকে বন্ধকি সোনার গয়না ও টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার সময়েও  মহিলার টাকা ও গয়নার ব্যাগ ছিনতাই হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। দুটি ঘটনায় পুলিশ এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে দুই দুষ্কৃতীকে চিহ্নিত করে। 
তদন্তের মধ্যে ভগবানপুরে এক ব্যক্তি বাইকের ডিকি ভেঙে ৬০,০০০ টাকা ছিনতাই হয়। ঘটনায় বাইকের নম্বর ধরে পুলিশ অভিযুক্তের সন্ধান চালায়। তদন্তের মধ্যে দুষ্কৃতীরা অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড সহ একাধিক রাজ্যে গা ঢাকা দেয়। সূত্রের খবর, এই দলের কয়েকজন পান্ডা পশ্চিম মেদিনীপুরের বালিচক এলাকায় ঘরভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করে। গত ১৫ এপ্রিল ফের পটাশপুরের চুরির নেশায় বাইকে আসে দুই দুষ্কৃতী সীতারাম দাস ও কুমার দাস । ধৃতদের বাড়ি ওড়িশার জাজপুরে। মংলামাড়ো থেকে বাইকে বিভীষণপুরের দিকে তারা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। বাজার করতে এসে অভিযুক্তদের দেখতে পেয়ে সাদা পোশাকে পটাশপুর থানার এক ভিলেজ পুলিশ কর্মী ধাওয়া করে। বিভীষণপুরে একটি সোনার দোকানে চুরির জন্য এক দুষ্কৃতী ঢোকেন। সেই সুযোগ স্থানীয় লোকেদের সাহায্যে এক দুষ্কৃতীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। অপর এক দুষ্কৃতী পালিয়ে গেলেও পুলিশ ধাওয়া করে বাইক সহ তাকে গ্রেফতার করে। আদালতে তোলা হলে তাদের টিআই প্যারেড করা হয়। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ ওড়িশা ডাকবাংলো এলাকায় একটি দোকানের সন্ধান পায়। চুরির হওয়া সোনা সেই দোকানে গলিয়ে নতুন গয়না তৈরি করে বিক্রি করা হতো। সেই দোকান থেকে পুলিশ চুরি যাওয়া গয়না উদ্ধার করে। উদ্ধার হয়েছে তালা ভাঙার দুটি সরঞ্জাম ।সেই সঙ্গে অভিযুক্ত  দোকানী কেশব চন্দ্র সাউকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ধৃত দোকানীকে বুধবার কাঁথি আদালতে তোলা হলে বিচারক তার চোদ্দ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।