এবারেও অনিশ্চিত পৌষমেলা! ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভে বন্ধ প্লট বুকিং

২০২৩ সালে পূর্বপল্লির মাঠে সরকারের  তরফে পৌষমেলার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানেই প্লট বুকিংয়ে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে আসা হয়েছে। বিক্ষোভ দেখান ব্যবসায়ীরা। ঘটনাস্থলে পুলিশ হাজির হয়। 

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
POUSHMELA.jpg

নিজস্ব সংবাদদাতা: দীর্ঘ তিন বছর পর বোলপুরের পূর্বপল্লির মাঠে বসতে চলেছে পৌষমেলা। এর আগে ২০১৯ সালে শেষবারের মতো পৌষমেলা হয়েছিল। কিন্তু পৌষমেলায় এবার প্লট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যার জেরে তীব্র বিক্ষোভ দেখান ব্যবসায়ীরা। যার জেরে বন্ধ হয়ে যায় পৌষমেলায় প্লট বুকিং। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। 

অভিযোগ উঠেছে, পৌষ মেলার স্টলের জন্য প্লট বুকিংয়ের টাকা সরকারের কোন খাতে জমা পড়ছে। তবে এই নিয়ে কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি। ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, পৌষমেলায় প্লট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে দালালারাজ কাজ করছে। প্রসঙ্গত, এই প্রথম পূর্বপল্লিতে পৌষমেলা করতে চলেছে রাজ্য। বোলপুর-শ্রীনিকেতন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কাজি মহম্মদ হানিফ জানিয়েছেন, কোন খাতে টাকা যাচ্ছে, তা মহকুমা শাসক বলতে পারবেন। ২০১৯ সালে পূর্বপল্লির মাঠে শেষ পৌষমেলা হয়েছিল। তারপর আর হয়নি। ২০২০ সাল করোনা মহামারীর জন্য বন্ধ ছিল। ২০২১ ও ২২ সালে মনে পৌষমেলার বিকল্প মেলা করা হয়েছিল। চলতি বছরেই বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মেয়াদ শেষ হয়। অনেকেই মনে করেছিলেন, এবার আবার পূর্বপল্লির মাঠে পৌষমেলা হবে বিশ্বভারতীর পরিচালনায়। কিন্তু তা হচ্ছে না। 

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ নম্বর ছাড়াই নেওয়া হচ্ছে জিএসটি। শুধু স্টেট জিএসটি নয়, সেন্ট্রাল জিএসটিও নেওয়া হচ্ছে। অথচ কোনও জিএসটি নম্বর নেই। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি বলে অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীরা। অনেকক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা জিএসটি নম্বর ছাড়াই জিএসটি দিয়ে প্লট বুক করছে। এছাড়াও প্লট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে দালালরাজ কাজ করছে বলে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন। এর আগে ২০২২ সালে ডাক বাংলোর মাঠে পৌষমেলায় দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে এসেছিলেন ব্যবসায়ীরা। সেই সময় অভিযোগ তুলেছিলেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। এবারেও ফের দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।