নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্রাম: আসন্ন ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। যদিও এক দফায় নাকি একাধিক দফায় ভোট হবে সেটা হাইকোর্টের রায়ের ওপর নির্ভর করছে। তবে এখনও পর্যন্ত ঠিক আছে আগামী ৮ জুলাই এক দফাতেই হবে পঞ্চায়েত ভোট। ভোটপর্বে যেমন রাজনৈতিক হিংসা চলছে রাজ্যের কয়েকটি অঞ্চলে, তেমনই জঙ্গলমহলের কাছে চিন্তা হাতির হানা।
প্রতি বছরই ঝাড়গ্রামসহ জঙ্গলমহলের বিভিন্ন এলাকায় চলে আসে দাঁতাল হাতির দল। মূলত ঝাড়খণ্ডের দলমা পাহাড় থেকে নেমে এসে দাঁতাল হাতির দল চলে আসে ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি, বিনপুর ব্লকে। সেখান থেকে নয়াগ্রাম ব্লক হয়ে হাতির দল ঢুকে যায় ওড়িশায়। কিন্তু বিগত কয়েক বছরে বেলপাহাড়ি, বিনপুর, নয়াগ্রাম বা ঝাড়গ্রাম ব্লকে দেখা গিয়েছে হাতির দল ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে। ফলে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন ব্লকে দাঁতাল হাতির পাল আদৌ তাণ্ডব চালাবে কিনা সেটা নিয়েই চিন্তায় এলাকাবাসীরা। গত ৩০ জুন ঝাড়গ্রামের কাজলাগ্রামে একজনকে পিষে দিয়েছে হাতি। পরে বন দফতরের কর্মীরা হাতিটিকে বাগে আনেন এবং উদ্ধার করে নিয়ে যান। তবুও ওই এলাকার মানুষজন আতঙ্কে আছেন হাতির উপদ্রব নিয়ে।
বিজেপি নেতা জয়ন্ত রায় বলেন, হাতি নিয়ে স্থায়ী কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না রাজ্যের বন দফতর। স্থানীয় বিজেপি নেতার দাবি, বন আধিকারিকরা চাইলেই দলমার হাতি নিয়ে স্থায়ী সমাধান করতে পারেন। কিন্তু ঝাড়গ্রাম জেলার একটি রেঞ্জ থেকে অন্য রেঞ্জে তাড়িয়ে দায় সাড়ে বন দফতর।
হাতি নিয়ে ত্রস্ত ঝাড়গ্রাম জেলার বাসিন্দারা। জেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় দাঁতাল হাতি ঘুরে বেড়াচ্ছে। ফলে পঞ্চায়েত ভোটের দিন যদি দলমার দাঁতালরা কোনও ভোটকেন্দ্রে হানা দেয় তখন কী হবে? সেই চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে প্রশাসনের কর্তাদের।