পশ্চিম মেদিনীপুরে পঞ্চায়েতের ত্রিস্তরে লড়াইয়ে ১১২২৪ জন প্রার্থী

১১২২৪ জন প্রার্থী এবছর ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়াই দেওয়ার জন্য প্রস্তুত।

author-image
Poulami Samanta
New Update
123

নিজস্ব সংবাদদাতা : ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে এবার মোট প্রার্থীর সংখ্যা ১১২২৪ জন। বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা নির্বাচন আধিকারিকের পক্ষ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে। তার মধ্যে জেলা পরিষদে ২৮০ জন, পঞ্চায়েত সমিতিতে ১৭৮৩ জন এবং গ্রাম পঞ্চায়েতে ৯১৬১ জন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়ী হয়েছেন ৬২২ জন, পঞ্চায়েত সমিতিতে ৬৭ জন। তবে জেলা পরিষদের প্রতিটি আসনে লড়াই থাকছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নমুনা ব্যালট ছাপা কেন্দ্রগুলিতে নজরদারি চালালেন জেলা শাসক খুরশিদ আলী কাদরী, জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। জেলা শাসক জানিয়েছেন, পরিস্থিতি সব ঠিক আছে। ছাপাখানায় কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। ২৪ ঘন্টায় পুলিশ কর্মীরা পাহারায় রয়েছেন।

অন্যদিকে মনোনয়নে শাসকদল এগিয়ে থাকলেও পিছু ছাড়ছে না 'বিক্ষুব্ধ কাঁটা'। তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা জানিয়েছিলেন, "দলের সিদ্ধান্তের পর যারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করবে না, তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।" তারপরই মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিনে শাসকদলের অনেক বিক্ষুব্ধ প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে। এখনো অনেকে প্রত্যাহার করেনি যারা নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তেমনই মেদিনীপুর সদর ব্লকের কনকাবতী গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী উপপ্রধান বিশ্বজিৎ কর্মকার সহ বেশকিছু তৃণমূল কর্মী নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। সূত্রের খবর, মনোনয়ন তোলার জন্য বিশ্বজিতের সঙ্গে নেতৃত্বরা কথাও বলেন। তাতেও সমাধান সূত্র বের হয়নি। কয়েক বছর ধরে ব্লক সভাপতি গৌতম দত্তের সঙ্গে তার মনোমালিন্য রয়েছে বলে কর্মীদের একাংশ জানিয়েছেন। ওই এলাকার ৯ টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ১ টি পঞ্চায়েত সমিতিতে মনোনয়ন জমা দিয়েছে। নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার কারণ হিসেবে মুখ না খুললেও বিশ্বজিৎ কর্মকার বলেন, "গণতান্ত্রিক ভাবে সবার অধিকার আছে ভোটে দাঁড়ানোর। আমরা মানুষের দরজায় আছি। তাদের ওপর বিশ্বাস আছে।"