মোগলমারি বৌদ্ধবিহার এবং শরশঙ্কা দীঘি এবার সেজে উঠবে নতুন রূপে

মোগলমারি বৌদ্ধবিহারের জন্য দেড় কোটি টাকা এবং শরশঙ্কা দীঘির জন্য ১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

author-image
Atreyee Chowdhury Sanyal
New Update
WhatsApp Image 2025-02-18 at 13.35.28

File Picture

নিজস্ব সংবাদদাতা: পশ্চিম মেদিনীপুরের পর্যটন মানচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে ঐতিহাসিক মোগলমারি বৌদ্ধবিহার এবং শরশঙ্কা দীঘি। দাঁতন এলাকায় অবস্থিত এই দুই সুপ্রাচীন ঐতিহাসিক পর্যটন ক্ষেত্রের উন্নয়নে আড়াই কোটি টাকা অনুমোদন করল রাজ্য সরকারের পর্যটন দফতর। এজন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জেলাশাসক খুরশিদ আলী কাদেরী, দাঁতনের বিধায়ক বিক্রম চন্দ্র প্রধান প্রমুখ। 

জেলাশাসক জানান, “আমরা ডিপিআর তৈরি করে প্রস্তাব আকারে পাঠিয়েছিলাম। তার উপর ভিত্তি করে আড়াই কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছে এবং দ্রুত ফাইনাল ডিপিআর পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। আমরা আগামী ১০ দিনের মধ্যেই তা পাঠাব”। 

WhatsApp Image 2025-02-18 at 13.35.27

পশ্চিম মেদিনীপুরের মোগলমারি, শরশঙ্কা ছাড়াও ডেবরার একটি চিলড্রেন পার্কের জন্যও ডিপিআর পাঠানো হবে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। দাঁতনের বিধায়ক বিক্রমচন্দ্র প্রধান বলেন, “তৎকালীন জেলাশাসক রশ্মি কমলের সময় (২০১৮-'১৯) থেকেই আমরা এই প্রস্তাব দিয়ে এসেছি। উনি এবং পরবর্তী সময়ে আয়ষা রানীও এই বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। বর্তমান জেলাশাসক খুরশিদ আলী কাদেরীও একাধিকবার মোগলমারি ও শরশঙ্কাতে এসেছেন। ডিপিআর পাঠানোর ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা অপরিসীম”।

WhatsApp Image 2025-02-18 at 13.35.27 (1)

জানা গেছে, মোগলমারি বৌদ্ধবিহারের জন্য দেড় কোটি টাকা এবং শরশঙ্কা দীঘির জন্য ১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তরফে যে ডিপিআর পাঠানো হয়েছে তাতে মোগলমারি বৌদ্ধবিহারে একটি মিউজিয়াম এবং চারটি কটেজ বা গেস্ট হাউস সহ বেশকিছু প্রস্তাব আছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, মোগলমারিতে মিউজিয়ামের জায়গা নিয়ে যে সমস্যা ছিল, তা মিটেছে। প্রায় ২০ ডেসিমেল জায়গার ওপর তৈরি হবে এই মিউজিয়াম। বৌদ্ধ প্যাগোডার আদলে মিউজিয়ামটি গড়ে তোলা হবে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, শরশঙ্কা দীঘিকে কেন্দ্র করে আরও যে ১০০ একর জায়গা রয়েছে, সেখানে সুসমৃদ্ধ পার্ক এবং বেশ কিছু কটেজ গড়ে উঠবে বলে জানা গেছে।