নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুর: গ্রাম পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনে উলট পুরাণ। দলের নির্দেশকে অমান্য করল দলের এক শ্রেণীর নেতা-কর্মীরা। দলের তরফে মনোনীত প্রধানকে অস্বীকার করে প্রধান বাছাইয়ের ক্ষেত্রে হল ভোটাভুটি। আর এই ভোটাভুটিতে তৃণমূলকে সমর্থন করল বিজেপির এক জয়ী প্রার্থী।
জানা যায় যে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের কুঁয়াপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে আজ ছিল গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের দিন। গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে ২৪টি আসনের মধ্যে ৪টি পায় বিজেপি, ২০টি পায় তৃণমূল। আর সেই বোর্ড গঠনে দলীয় নির্দেশ মতো গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধান ঠিক করা হয়। প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হিসেবে শঙ্কর ঘোষের নাম মনোনীত করে পাঠায় দল আর উপপ্রধান হিসাবে যমুনা দাসের নাম মনোনীত করা হয়। কিন্তু আজ বোর্ড গঠনের দিন বেঁকে বসেন কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্য। তারা দলের মনোনীত প্রধানকে অস্বীকার করে দলের নির্দেশকে অমান্য করলে দলের মনেনীত প্রধান পদপার্থী শঙ্কর ঘোষের বিরুদ্ধে দলেরই জয়ী এক পঞ্চায়েত সদস্য প্রিয়াঙ্কা ঘোষ ভূঁইয়াকে ভোটাভুটিতে দাঁড় করিয়ে আর সেই ভোটাভুটির ক্ষেত্রেও কারচুপির অভিযোগ তুলল ভোটাভুটিতে অংশ নেওয়া তৃণমূলেরই এক জয়ী প্রার্থী। যদিও এদিনের ভোটাভুটিতে গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৪ জন প্রার্থী উপস্থিত থাকলেও ভোটদান পর্ব থেকে বিরত রইল ৩ বিজেপি প্রার্থী। একজন বিজেপি প্রার্থী সমর্থন করল তৃণমূলের প্রধান পদপ্রার্থীকে। ভোটাভুটিতে জয়লাভ করল কিয়াগেড়িয়া বুথের তৃণমূল প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা ভূঁইয়া। বিজেপির একটি ভোটসহ প্রিয়াঙ্কা পেল মোট ১৩টি ভোট আর দলের মনোনীত প্রধান শঙ্কর ঘোষ পেল ৮ টি ভোট। উপপ্রধান বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কোনও ভোটাভুটি হল না এদিন। দলের মনোনীত উপপ্রধানকে নিয়ে অবশ্য কারও কোনও দ্বিমত ছিল না বলে জানা যায়। এদিনের তৃণমূলের এই বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে গ্রাম পঞ্চায়েতে ছিল কড়া পুলিশি নিরাপত্তা। ঘাটাল এসডিপিও থেকে সিআই, ওসিসহ সকলেই ছিল উপস্থিত। তবে যাই হোক, দলের নির্দেশকে অমান্য করে তৃণমূলের ভোটাভুটিকে কটাক্ষ করল বিজেপি। তবে ভোটাভুটিতে বিজেপির ৪জন জয়ী প্রার্থীর মধ্যে ৩জন ভোটদানে বিরত থাকলেও বিজেপির কোন জয়ী প্রার্থী ভোটদান করল তা খতিয়ে দেখার কথা বলেন বিজেপির চন্দ্রকোনা দক্ষিণ মন্ডল সভাপতি বিপ্লব মাল।