ভোটব্যাঙ্ক! কুড়মিদের নিয়ে আশঙ্কা পঞ্চায়েতে

এবারের পঞ্চায়েত ভোটে লড়তে চলেছে কুড়মিরাও। শাসকদলের ভোটব্যাঙ্কে কি প্রভাব পড়বে? কী বলছে বিরোধীরা?

author-image
Pallabi Sanyal
New Update
44

নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্রাম  : কুড়মি ভোট নিয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখছে শাসক দল তৃণমূল।কুড়মি ভোট জঙ্গল মহলে একটা এক্স-ফ্যাক্টর। স্বীকার শাসক দলের। জঙ্গলমহলের ভোটে এবার নয়া সমীকরণ হতে চলেছে কুড়মি ভোট ব্যাঙ্ক। জাতিসত্তার আন্দোলন নিয়ে বেশ কয়েকটি কুড়মি সংগঠন গত দু'বছর ধরে ঝাড়গ্রাম ,বাঁকুড়া , পুরুলিয়াতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। ২০২২ সালে ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত হয়। গত ২৬ মে  তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নব জোয়ারের কর্মসূচির মাঝে তার কনভয়ে কুড়মিদের বিক্ষোভ এবং হামলার ঘটনায় পুলিশ ও সিআইডি যৌথভাবে ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটির প্রথম স্বাধীন ১১ জন নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করে। সেই গ্রেফতারের পর ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটি এলাকায় এলাকায় বিক্ষোভ এবং পথসভা করে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পরের দিনেই ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় এবার কুড়মি সমাজ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। এমনকি অন্য কোন রাজনৈতিক দলের প্রচারও করতে দেবে না তারা। পাশাপাশি তাদের আন্দোলনের বিরুদ্ধে যে সংগঠন গুলি রাস্তায় নেমেছে সেই সমস্ত প্রার্থীদেরও তারা ভোট দেবে না। কুড়মি সমাজের ঘোষণার পরেই রাজনৈতিক জগতে নয়া সমীকরণ দেখা দিয়েছে। রাজনৈতিক  মহলের মতে, কুড়মি সমাজের যে ভোটব্যাঙ্ক, তা শাসকদলের পক্ষেই ছিল এবার সেই কুড়মি সমাজ পৃথকভাবে রাজনৈতিকভাবে ময়দানে নামায় যথেষ্ট বেগ পেতে হবে। যদিও তৃণমূল, বাম এবং বিজেপি দলের হয়ে কুড়মিরা প্রার্থী হয়েছে, তাই ভোটব্যাঙ্কের এই বিষয়টি নিয়ে সেভাবে নতুন সমীকরণের কোন সম্ভাবনা নেই। বিজেপির বক্তব্য, সামাজিক আন্দোলন থেকে ভোটের রাজনীতি করতে গিয়ে আসল উদ্দেশ্যে থেকে সরে যাবে কুড়মিরা।