নিজস্ব সংবাদদাতা, চন্দ্রকোণাঃ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ধান থেকে শুরু করে একাধিক কৃষি ফসল। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার। তাই ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেতে শস্য বীমার ফর্ম জমা দিতে উপচে পড়া ভিড় লেগে যায়। শুরু হয় হুড়োহুড়ি। এমনই ছবি উঠে এলো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা দু'নম্বর ব্লকের বিডিও অফিস চত্বরে।
এ বিষয়ে চন্দ্রকোনা দু'নম্বর ব্লকের বিডিও উৎপল পাইক বলেন,'' ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা যাতে সঠিকভাবে সরকারি সুযোগ সুবিধা পায়,শস্য বীমার আওতায় তাদের আনতেই বিশেষ শিবির করা হয়েছে। আজ থেকে ৩০ শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে এই শিবির। '' উল্লেখ্য, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের শস্যবিমার মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেছেন।যদিও এখনও বহু কৃষক শস্যবিমার আওতায় আসেনি। শস্যবিমার আওতায় না থাকলে ক্ষতিপূরণ মিলবে না এমনটাই প্রশাসন সূত্রে খবর।
টানা বৃষ্টির সাথে ডিভিসির ছাড়া জলে রাজ্যের বেশকয়েকটি জেলায় বন্যার সৃষ্টি হয়। এক সপ্তাহের উপর জলবন্দি অবস্থায় কাটে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল মহকুমার ঘাটাল, চন্দ্রকোনা, দাসপুরবাসীর। বন্যার জলে চরম ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন কৃষকরা। বিঘার পর বিঘা কৃষি জমির ফসল নষ্ট হওয়ায় ঘুম উড়েছে কৃষকদের। যদিও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কৃষি দপ্তর ক্ষয়ক্ষতির সার্ভেও করে।
কৃষকদের শস্যবিমার আওতায় এনে তাদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থার উদ্যোগ নিয়েছে বন্যা কবলিত এলাকার ব্লক প্রশাসন। তেমনই চন্দ্রকোনা-২ নম্বর ব্লকে বিডিও অফিস চত্বরে শুরু হয়েছে কৃষকদের শস্যবিমায় নাম নথিভুক্তের বিশেষ শিবির। আর এই শিবিরে দীর্ঘ লাইন কৃষকদের,উপচে পড়া ভিড়। ভিড় নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন রয়েছে চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ। ব্লকের বিডিও উৎপল পাইক জানান,"
ঘাটাল মহকুমার ঘাটাল,দাসপুর ছাড়াও চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের ৬ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধিকাংশই শিলাবতী নদীর জলে প্লাবিত হয়েছিল,তাতে নষ্ট হয়েছে বিঘার পর বিঘা কৃষি জমির ফসল।রাজ্য সরকার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা নিয়েছে শস্যবিমার মধ্যে দিয়ে।কিন্তু এখনও ৫০ শতাংশের উপর কৃষক শস্যবিমার আওতায় ছিলনা তাদের বিমায় নাম নথিভুক্ত করার জন্য আগেই মাইকিং প্রচার করা হয়,এছাড়াও আজ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত বিশেষ শিবিরের মাধ্যমে ব্লকের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের শস্যবিমার আওতায় নিয়ে এনে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে। "