নিজস্ব সংবাদদাতা, পাণ্ডবেশ্বর: আলোচনা না করে প্যাচের কাজ শুরু হতেই কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখালো বাসিন্দারা। ফোনে গ্রামবাসীদের হুমকি ও গালিগালাজ প্যাচ মালিক কর্তৃপক্ষের বলে অভিযোগ। একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল সমস্যা মিটে গেছে দাবি মালিকপক্ষের প্রতিনিধির। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সোনপুর বাজারি প্রকল্পের নবগ্রাম সংলগ্ন হাসডিয়া নামে খোলামুখ খনীতে।
খনি সংস্থা ইসিএলের সোনপুর বাজারি প্রকল্পের নবগ্রাম সংলগ্ন হাসডিয়া খোলা মুখ খনিতে কয়লা উত্তোলনের দায়িত্ব পেয়েছে দে গ্রূপের CMAT নামে একটি বেসরকারি সংস্থা। আজ থেকে ১০-১৫ দিন আগে সংস্থা কয়লা উত্তোলনের জন্য মাটি কাটার কাজ শুরু করতে সেই কাজে বাধা দেয় পাণ্ডবেশ্বর ব্লকের নবগ্রাম এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ। খনিতে ক্রমাগত ব্লাস্টিং এর কারনে এলাকার ঘরবাড়ির ক্ষতি হচ্ছে। খনি সম্প্রসারণ এর জন্য মাটিকাটা হলেও জমির ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে না জমির মালিকদের বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের।
শেখ কারিবুল, শেখ জিয়াউদ্দিন জানান সেই সময় কাজ বন্ধের পর খনি কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠক হয় গ্রামবাসীদের। গ্রামবাসীদের দাবি পূরণ ও তাদের সাথে আলোচনা করেই কাজ শুরু করা হবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু শুক্রবার গ্রামবাসীদের না জানিয়ে ফের ওই বেসরকারি সংস্থা মাটি কাটার কাজ শুরু করে। তিনি বলেন গতকাল তার পিতা গত হয়েছেন এবং তাকে মাটি দেওয়ার জন্য তাদের সমাজের সমস্ত প্রতিনিধিরা উপস্থিত হয়েছিল পাশাপাশি তার আত্মীয়-স্বজনরাও উপস্থিত হয়েছিলেন। হঠাৎ সেই সময় জোরালো ব্লাস্টিং এর আওয়াজ শুনে আত্মীয়-স্বজনরা ভূমিকম্প বলে দৌড়ে পালাতে যান। যদিও তিনি বলেন এটা তাদের নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। তবে গ্রামবাসীদের সাথে আলোচনা করেই কাজ শুরু হবে বলা সত্ত্বেও কেন কোম্পানি আবার নতুন করে মেশিন পাঠিয়ে কাজ শুরু করতে চাইছে? তিনি বলেন গ্রামবাসীরা যখন কোম্পানির মেশিন বন্ধ করতে আসে সেই সময় প্যাচ মালিক বাপি দে ফোনে গালাগালি করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গ্রামে। গ্রামবাসীদের দাবি প্যাঁচের মালিক বাপি দে কে সশরীরে এসে ক্ষমা চাইতে হবে।
এর পরই উত্তেজিত গ্রামবাসীরা কাজ বন্ধ করে দেয়। এরপর বেসরকারি সংস্থার এক আধিকারিক গ্রামবাসীদের একজনকে কাজ বন্ধ করার জন্য ফোনে গালাগালি দেন বলে অভিযোগ। এই খবর চাউর হতেই গ্রামবাসীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। শনিবার সকালে খোলামুখ খনির সমস্ত কাজ বন্ধ করে দেয় বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বেসরকারি সংস্থার কয়েকজন প্রতিনিধি। উত্তেজনা বাড়তে থাকাই সিআইএসএফের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে আসে পাণ্ডবেশ্বর থানার পুলিশও। বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি হিরু বেজ বলেন গ্রামবাসীদের সাথে ছোট ঘটনা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। কেউ গালাগালি করেনি, সমস্যা মিটে গেছে বলে দাবি করেন তিনি। বলেন গ্রামবাসীদের সাথে আলোচনা করেই কাজ করা হবে। ঘটনার জেরে এদিন বেলা ১১ টা থেকে ২ টো পর্যন্ত খনি চত্বরে থাকে উত্তেজনা বন্ধ হয়ে যায় কাজ।