নিজস্ব সংবাদদাতাঃ জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনায় জখম যুবককে আরজি করে রেফার করেছিল শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতাল। তবে সেখানে যাওয়ার পর কোনও চিকিৎসা হয়নি বলেই অভিযোগ পরিবারের। তার জেরেই প্রাণ হারাতে হয়েছে বাইশ বছরের বিক্রম ভট্টাচার্য নামে ওই যুবকের। এদিন, মৃতের দেহ নিয়ে আসা হয় কোন্নগরে তাঁর বাড়িতে। কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃতের মা। এই বিষয়ে মৃত যুবকের মা জানান, শ্রীরামপুর হাসপাতাল থেকে আরজি করে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয় সেই মতোই অ্যাম্বুলেন্স চালক আরজি করে নিয়ে গিয়েছিল। আরজি করে নিয়ে যাওয়ার পরে সেখানে কোনও চিকিৎসা হয়নি। মৃত যুবকের মা আরও বলেন, "আরজি করে বহুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর দু’ঘণ্টা পরে চিকিৎসা শুরু হয়। আরজি করে শুধুমাত্র ব্যান্ডেজ করে দেওয়া হয়েছিল ও স্যালাইন দেওয়া হয়েছিল। সেখানে কোনও ডাক্তার এগিয়ে আসেনি। এমার্জেন্সি পেশেন্ট। ক্রিটিকাল অবস্থায় ছিল। তারপরেও কোনও চিকিৎসা দেওয়া হয়নি।" কাঁদতে-কাঁদতে মৃতার মা বলেন, 'বিনা চিকিৎসায় আমার ছেলে অনেক কষ্ট যন্ত্রণা পেয়ে মারা গেছে।'
জানা গিয়েছে, শুক্রবার ভোরে কোন্নগর বেঙ্গল ফাইন মোড়ের কাছে রাজীব গান্ধী রোডে একটি ডাম্পার চাপা দিয়ে চলে যায় বিক্রম ভট্টাচার্য নামে বছর বাইশের এক যুবককে। তাঁর দুটি পা গুরুতর জখম হয়। তড়িঘড়ি তাঁকে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে আরজি কর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। অভিযোগ, প্রায় তিন ঘণ্টা বিনা চিকিৎসায় পড়ে থেকে মৃত্যু হয় ওই যুবকের।