নিজস্ব সংবাদদাতাঃ হাতে আর মাত্র কটা দিন বাকি। তারপরেই শুরু হয়ে যাবে বাঙালির প্রধান উৎসব দুর্গাপুজো। উল্লেখ্য, গতকাল ২রা অক্টোবর ছিল মহালয়া। অর্থাৎ পিতৃ পক্ষের অবসান হয়ে দেবীপক্ষের সূচনা হয়েছে। এই আবহেই শুরু হয়ে গিয়েছে পুজো। তবে পুজোর মরশুমে একটু আধটু পেটপুজো হবে না, তা আবার হয় নাকি ? পুজো আর পেট পুজো একে অপরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিকভাবে জড়িত। তবে আসুন জেনে নিই দুর্গাপুজো সময়ের বেশ কিছু লোভনীয় এবং সুস্বাদু পদের কথা।
এ ক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, ভারতের একটি প্রধান উৎসব হল দুর্গাপুজো। অনেক উৎসাহের সাথে এই উৎসবটি পালিত হয়। এটি কেবলমাত্র বাঙালিদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়। এটি সারা ভারতে নবরাত্রি নামেও পরিচিত। তাই সারা ভারতে এই বিশেষ উৎসবের জন্য বেশ কিছু বিশেষ খাবারও প্রচলিত আছে। ভারতের প্রতিটি অঞ্চলে এই সময় প্রস্তুত করা হয় প্রতিটি রাজ্যের নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী রেসিপি। আসুন জেনে নিই বেশ কিছু রেসিপি।
বাংলার স্বাদিষ্ট সুস্বাদুঃ বাংলায়, দুর্গা পূজা সুস্বাদু খাবারের সাথে সমার্থক। 'ভোগের খিচুড়ি', একটি চাল ও ডালের খাবার, এবং 'লাবড়া', একটি মিশ্র সবজি ক্যারি মেনুতে প্রায়শই থাকে। 'সন্দেশ' এবং 'রসগোল্লা' এই উৎসবের সময় জনপ্রিয় মিষ্টি।
অসমের উৎসবের স্বাদঃ অসম দুর্গা পূজা অনন্য স্বাদের সাথে পালন করে। 'খার', কাঁচা পেঁপে ও ডাল দিয়ে তৈরি, এবং 'মাছর টেঙ্গা', একটি টক মাছের ক্যারি, ঐতিহ্যবাহী খাবার। এই খাবারগুলি রাজ্যের সমৃদ্ধ খাবারের ঐতিহ্যকে প্রতিফলিত করে।
ওড়িশার উৎসবের আয়োজনঃ ওড়িশায়, উৎসবে 'দালমা', ডাল ও সবজি স্যুপ, এবং 'পখালা', খামিরযুক্ত চাল । 'ছেনা পোড়া' যেমন মিষ্টি আয়োজনেও অংশগ্রহণ করে, উৎসবের আবেগকে বৃদ্ধি করে।
বিহারের ঐতিহ্যবাহী খাবারঃ বিহার দুর্গা পূজার জন্য তার নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী রেসিপি থাকে। 'লিটি চোখা', গমের আটা দিয়ে বানানো গোলাকার খাবার ও পিষে নেওয়া সবজি দিয়ে তৈরি, জনপ্রিয়। 'ঠেকুয়া', এই সময় মিষ্টি ও উপভোগ করা হয়।
এই আঞ্চলিক খাবারগুলি দুর্গাপুজোর সময় ভারতের বৈচিত্র্যপূর্ণ খাবারের ঐতিহ্য উজ্জ্বল করে তোলে। প্রতিটি রাজ্য নিজস্ব স্বাদ টেবিলে আনে, উৎসবকে সকলের জন্য একটি স্বাদিষ্ট অভিজ্ঞতা বানিয়ে তোলে যারা এতে অংশগ্রহণ করে।