নিজস্ব সংবাদদাতা, দুর্গাপুরঃ বিশেষ গাড়িতে চেপে বন্য জীবজন্তুদের সুরক্ষিত রাখতে বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছে বনদপ্তরের কর্মীরা। এ ক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, আজ ৩১ শে ডিসেম্বর মঙ্গলবার বছরের শেষ দিন। আগামীকাল বুধবার শুরু হবে নতুন বছর। বছরের এই শেষ দিনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটকদের ভিড়। ভিড় জমেছে কাঁকসার দেউলের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে।
জানা গিয়েছে এই বনাঞ্চলে রয়েছে প্রায় ১০০টি হরিণ, কয়েকশো ময়ূর, ভারতীয় প্রজাতির নেকড়ে, নীলগাই, সজারু সহ বহু বিরল প্রজাতির প্রাণী। সেখানেই রয়েছে অজয় নদীর ধারে বিশাল পিকনিক স্পট। সেখানে এই পিকনিক করতে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষকে।
এদিন পিকনিক স্পটে তারস্বরে লাউড স্পিকার বাজাতেও দেখা যায়। ফলে চরম ক্ষতির মুখে পড়তে হয় বন্য জীবজন্তুদের। সেইসব বন্য জীবজন্তুদের যাতে কোন ক্ষতি না হয় সেই জন্য দুর্গাপুর বনাঞ্চলের বিশেষ নজরদারি শুরু হল। বনদপ্তরের 'ঐরাবত' নামক গাড়িটি করে গোটা পিকনিক স্পট জুড়ে চলছে নজরদারি। ওই গাড়ির ওপর থেকেই মাইকিং করা হচ্ছে, থার্মোকলের থালা বাটি ব্যবহার না করতে, লাউড স্পিকার ব্যবহার না করতে এবং সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভেতর না যাওয়ার জন্য।
দুর্গাপুর বনাঞ্চলের বনাধিকারিক সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন," সংরক্ষিত বনাঞ্চলে সবসময়ই নজরদারি চালানো হয়। তবে পিকনিকের মরশুমে মঙ্গলবার থেকে বিশেষ নজরদারি শুরু হলো। গোটা পিকনিক স্পট জুড়ে এই ঐরাবত নামক গাড়িটি করে মানুষজনকে সচেতন করা হচ্ছে। তবে কেউ যদি সরকারি নিয়ম লঙ্ঘন করার চেষ্টা করে। তারস্বরে লাউড স্পিকার বাজানোর চেষ্টা করে। কোন কারন ছাড়া বন্য জীবজন্তুদের উত্তপ্ত করার চেষ্টা করে। তাদের বিরুদ্ধে করা আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। "
মুনমুন মন্ডল নামের এক পর্যটক বলেন," এখানের পরিবেশ খুবই ভালো। আমরা স্কুলের পড়ুয়াদের নিয়ে পিকনিক করতে এসেছি। হরিণ,ময়ূর দেখবো। প্রাচীন নিদর্শনগুলিও জানার চেষ্টা করব।সারাদিন ধরে হৈ হুল্লোড় করে কাটাবো। ''