হরি ঘোষ, অন্ডাল : বিগত কয়েকদিনে খনি অঞ্চল অন্ডাল ও পাণ্ডবেশ্বর এলাকায় বেশ কয়েকটি ধসের ঘটনা সামনে এসেছে। কয়েকদিন আগেই পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার অন্ডাল থানার অন্তর্গত পড়াশকোল এলাকায় বহুলা - কাজোড়া যাওয়ার প্রধান রাস্তার উপর জায়গায় জায়গায় বিশাল আকার ফাটলের জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা । এমনকি আতঙ্কে ঘর-বাড়ি, দোকান-পাট ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন সেই মুহূর্তে।ফের চলতি মাসের ২৬ তারিখ সাত সকালেই ইসিএল-এর কেন্দা এরিয়ার শংকরপুর খোলা মুখ খনি চত্বরে বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দিলে আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায় । খবর দেওয়া হয় ইসিএল আধিকারিকদের, ঘটনাস্থলে আসে অন্ডাল থানার বনবহাল ফাঁড়ির পুলিশ। সুরক্ষার খাতিরে সেই মুহূর্তে খনির কাজ বন্ধ রাখা হয় । কিন্তু ফের বিপদের ঝুঁকি নিয়েই শুরু হয় খনির কাজ। এরপর শুক্রবার আবারও কেন্দা এরিয়ার শংকরপুর খোলা মুখ খনির সেই পুরনো ফাটল গুলি বড় আকার নেওয়ায় আতঙ্ক ছড়ায় খনি চত্বর এবং আশেপাশের গ্রামেও।
শুক্রবার সকাল সকাল এমন দৃশ্য দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন খনি এলাকার মানুষ। পুরনো ফাটলগুলো বৃহৎ আকার নিয়ে পাম্প হাউস পর্যন্ত পৌঁছায় বলে দাবি স্থানীয়দের । এক এলাকাবাসী জানান, খনির ৫০০ মিটার দূরে রয়েছে দুটি গ্রাম। যেভাবে দিনে দিনে খনি চত্বর জুড়ে ফাটল দেখা দিচ্ছে তাতে আগামী দিনে গ্রাম পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে এই ফাটল, যেকোনও সময় ধসের মতো ঘটনা ঘটতে পারে। সব দেখেও উদাসীন ই সি এল কর্তৃপক্ষ। এমনই অভিযোগ। সিঁদুলি থেকে শীতলপুর যাওয়ার প্রধান রাস্তার দু'পাশেই দেখা দিয়েছে গভীর ফাটল। খনির চত্বর থেকে ৩০০ মিটার দূরে রয়েছে দিঘির বাগান নামক একটা জনবসতি। দিঘির বাগান এলাকার আরসাদ হোসেন নামে এক বাসিন্দা জানান, যেভাবে ধীরে ধীরে ফাটল বাড়ছে এবং আশেপাশের মাঠ ধীরে ধীরে বসছে তাতে আতঙ্কিত তারা । তিনি বলেন, এই নিয়ে ইসিএলকে বারবার জানানোর পরও কোনও কাজ হয়নি। আরশাদ বাবু জানান,ইসিএল কর্তৃপক্ষ গ্রামের মানুষদের নিরাপত্তার জন্য সদর্থক ব্যবস্থা নিক শীঘ্রই। নইলে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।